এই মুহূর্তে কলকাতা

ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতীয় দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন নবান্ন।


কলকাতা, ৩ মার্চ:- ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতীয় দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আটকে থাকা পড়ুয়াদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমত অবস্থায় ভারতীয় ছাত্র বিশেষ করে ইউক্রেনে আটকে থাকায় এ রাজ্যের পড়ুয়াদের দ্রুত ও নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানালো রাজ্য। দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের রেসিডেন্ট কমিশনারের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যাতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনা হয়। সূত্রের খবর, বুধবার পর্যন্ত এ রাজ্যে ইউক্রেন থেকে মোট ৩৩ জন পড়ুয়া ফিরছেন। দু’দফায় ১৭ জন এবং ১৬ জন পড়ুয়ার দল বুধবার দিল্লি ও মুম্বইতে পৌঁছেছেন। সূত্রের খবর, বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব থেকে বেশি পড়ুয়া ফেরার কথা। যদিও এ রাজ্যের কতজন পড়ুয়া এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন-সহ সীমান্ত এলাকায় আটকে রয়েছেন সেই তথ্য বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনও পায়নি রাজ্য। তবে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছে রাজ্য।

ইতিমধ্যেই নবান্ন কন্ট্রোল রুমে ইউক্রেনে আটকে পড়া পড়ুয়াদের পরিবারের তরফে যত ফোন এসেছে সব বিদেশ মন্ত্রকের লোকেশন পাসপোর্ট নম্বর-সহ ডিটেইলস পাঠানো হয়েছে। ইউক্রেনে এ রাজ্যের কতজন বাসিন্দা আটকে রয়েছেন, তা নিয়ে প্রত্যেকটি জেলার কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন। ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন, এমন কোনও বাসিন্দার খবর যদি জেলা প্রশাসনের হাতে আসে, তাহলে সেই সংক্রান্ত খবর সঙ্গে সঙ্গে নবান্নে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ঠিকানা, বর্তমানে তাঁরা কোথায় রয়েছেন, পাসপোর্ট নম্বর ও ফোন নম্বর জানানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে এই বিষয় দ্রুত তথ্য দিতে বলা হয়েছে।ইউক্রেনে আটকে থাকা বাংলার নাগরিক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে আগেই। হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। এই কন্ট্রোলরুম সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। এখানে কাজ হবে দুটো শিফটে। যে দুটি নম্বর চালু করা হয়েছে তা হল– ২২১৪৩৫২৬ ও ২২১৪১০৭০। এই কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে রয়েছেন এক উচ্চপদস্থ আইএএস আধিকারিক। পাশাপাশি ইবিসিএস আধিকারিকরা সাহায্য করছেন তাঁকে।