কলকাতা, ২৩ ফেব্রুয়ারি:- বীরভূমের দেউচা পাচামি খনি প্রকল্পে জমিদাতাদের জমির পাট্টা, চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্নে এক অনুষ্ঠানে প্রতীকী ভাবে ৬ জনের হাতে জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ২০৩ জনকে জমির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাথা জানা মুখ্যসচিব। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেউচা-পাচামি প্রকল্পে মোট ১০ হাজার কোটি টাকার পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরি হয়েছে। সোমবারই নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেউচা-পাচামি প্রকল্পের জমিদাতাদের জন্য ক্ষতিপূরণের অঙ্ক এক লাফে দ্বিগুণ করা হয়েছিল। জমিদাতাদের পুনর্বাসন হিসেবে জমির দাম, বাড়ি করার জন্য আর্থিক সাহায্য ও সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিশ্রুতির পরেই প্রকল্পের জন্য জমি দিতে রাজি হন বহু আদিবাসী পরিবার। এদিন জমিদাতা পরিবারের একাংশ নবান্নে হাজির হয়েছিলেন ক্ষতিপূরণ নিতে।
প্রতিশ্রুতিমতো তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ‘প্রকল্পে জমিদাতাদের জন্য রাস্তা, স্কুল সব করে দেবে রাজ্য সরকার।’ খাদান মালিকদের একাংশ নিজেদের স্বার্থে দেউচা-পাচামির আদিবাসী পরিবারগুলিকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমি চাই, আদিবাসীরা নিজেদের পায়ে দাঁড়ান। তাঁদের স্বাবলম্বী করার জন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’ দেউচা-পাচামি প্রকল্প চালুর জন্য রাজ্য সরকার ১০ হাজার কোটি টাকার পুনর্বাসন প্যাকেজ চালু করেছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেউচা পাচামিতে জমির বদলে জমি দেওয়া হবে। জমির দাম দ্বিগুণ করা হবে। জমিদাতাদের পরিবারের একজন সদস্য যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবেন। তাঁদের জন্য ৫১২৫টি শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পদ সৃষ্টি করা হবে। যার যেমন যোগ্যতা, তিনি সেই অনুযায়ী চাকরি পাবেন। আমরা মোট ১০ হাজার কোটি টাকার পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরি করেছি। এখনও পর্যন্ত দেড় হাজার জন জমি দিতে সম্মত হয়েছেন। তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। ২০৩ পরিবারকে জমির বদলে জমি দেওয়া হচ্ছে। ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। প্রায় এক লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রকল্প তৈরি হলেই স্থানীয়রাই চাকরি পাবেন। এলাকার উন্নয়ন হবে। রাস্তা, স্কুল তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার।’