কলকাতা, ২২ ফেব্রুয়ারি:- গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন রুখে বিপন্ন মালদা,মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘ চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, গঙ্গার জল বণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালের ভারত-বাংলাদেশ চুক্তির বিরূপ প্রভাব ফরাক্কা ব্যারেজের দু’প্রান্তে পড়েছে। ফারাক্কা ব্যারেজের দু’প্রান্তে গঙ্গা-পদ্মার ভাঙন রোধে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত পদক্ষেপ করেছে না। তার ফলে তিন জেলায় গঙ্গার ভাঙনে বিপুল পরিমাণ উর্বর জমি বিলীন হয়ে গেছে। গত পনেরো বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার নিজেদের টাকার ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু বাস্তবে বিপুল অর্থ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীকে এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিতে আর্জি জানিয়েছেন। যাতে জীবন ও সম্পত্তি হানি আটকানো যায়। প্রসঙ্গত, ওই চুক্তির সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল এইচডি দেবগৌড়ার নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চার সরকার। ওই সরকারের অন্যতম চালিকা শক্তি ছিলেন বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। মূলত তাঁর উদ্যোগেই ওই চুক্তির সিদ্ধান্ত হয় এবং ঢাকায় চুক্তি স্বাক্ষরে ভারত সরকারের নেতৃত্ব দেন জ্যোতি বাবু। ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের প্রভাব পড়েছে নদীর গতিপথে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই জলসম্পদ মন্ত্রক ২০০৫ সালে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছিল। যাতে নদীর পাড়ের ক্ষয়রোধ করা যায়। ২০১৭ সালে সেই ক্ষমতার বদল ঘটান কেন্দ্রীয় সরকার। যা কার্যত একতরফাভাবে করেছিল কেন্দ্র। রাজ্যের কথা না ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র যার ফল ভুগছে বাংলা।