সুদীপ দাস, ২০ ফেব্রুয়ারি:- দীর্ঘ চার বছর ধরে তৃণমূল-দিদির বাড়িতেই ভাড়া থাকেন বিজেপির দিদি। এবারে দুই দিদির উপরেই সহায় হয়েছে তাঁদের নিজ-নিজ দল। ভোট যুদ্ধে এই দু’জনের উপরেই ভরসা করেছে শাসক ও বিরোধী দু’পক্ষই। টিকিট পেয়ে তাই দু’জনেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পরেছেন। একই বাড়ি থেকে তাই শাসক-বিরোধী লড়াইয়ে ভোট যুদ্ধ জমজমাট হুগলী-চুঁচুড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। বিগত দিনে এই ওয়ার্ড ছিলো তৃণমূলের দখলে। তবে গতবারের কাউন্সিলরকে এলাকায় দেখা যেত না বলে বহুবার অভিযোগ উঠেছে। দলও এবারে ২০১৫ সালে এই ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থীকে টিকিট দেয়নি। এবারে এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের তুরুপের তাস চন্দ্রিমা সরকার। হুগলী মহসীন কলেজ থেকে আইনে স্নাতক করা বছর ৩৯-এর চন্দ্রিমার বক্তব্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ ভক্ত হলেও চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের কথায় বছর দু’য়েক আগে রাজনীতিতে এসেছেন।
বাপের বাড়ির পাশাপাশি ১৪-নম্বর ওয়ার্ডেই শ্বশুরবাড়ী চন্দ্রিমার। তবে চুঁচুড়ার রথতলায় বাপের বাড়িতে থেকেই ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি। এই বাড়িতেই এখন দিনরাত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আনাগোনা। পাশাপাশি এই বাড়িতেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের আনাগোনাও রয়েছে। কারন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর বাসস্তানও এই বাড়ি। কোলকাতায় থেকে পড়াশুনা করে স্নাতক হওয়া জুঁই পান্ডে এই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী। দীর্ঘ চার বছর ধরে চন্দ্রিমাদেবীর পৈতৃক ভিটের একাংশে ভাড়া থাকেন জুঁইদেবী। বর্তমানে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে মোদি-দিদির দূরত্ব যতই আকাশ-পাতাল হোক না কেন, চুঁচুড়ার ১৪নম্বর ওয়ার্ডে কিন্তু দাদা-দিদির দুই সৈনিকের অবস্থান একই বিন্দুতে।
চন্দ্রিমার বক্তব্য বাড়িতে আমাদের কোন লড়াই নেই। লড়াই হবে ভোট ময়দানে। আগামি ২৭ তারিখ জনগন রায় দেবে। দিদির উন্নয়নে ভরসা করে নিশ্চিত সে লড়াইতে আমি-ই জিতবো। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী জুঁই পান্ডের বক্তব্য বাড়িতে আমাদের কোন রাজনীতৈতিক লড়াই নেই। ঘরে আমাদের মধ্যে দিদি-বোনের সম্পর্ক। রাজনীতি শুধু ভোট ময়দানে। যেখানে হার-জিতের রায় দেবে জনগন। এই বাড়িতে থাকা চন্দ্রিমার জ্যাঠতুতো দিদি ঝুমা ব্যানার্জী বলেন একজন আমার রক্ত, আর একজন আমার হৃদয়। আগামি ২৭ তারিখ আমার রক্ত আর হৃদয়ের লড়াই। এখানে একটাই কথা বলবো “অল দ্য বেষ্ট, ফর বোথ দ্য ক্যান্ডিডেটস্! যাই হোক, চাঁদের আলোক-ছটা, না কি জুঁইয়ের সুগন্ধ! চুঁচুড়ার ১৪নম্বর ওয়ার্ডে মানুষের মন কে জয় করে, এখন সেটাই দেখার।