এই মুহূর্তে জেলা

বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্য দিয়েই চন্দনগরের সমাপ্ত নির্বাচন, ভোট পরলো ৭০ শতাংশের বেশী।


সুদীপ দাস, ১২ ফেব্রুয়ারি:- বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়েই বহু প্রতিক্ষিত চন্দননগর পুরনিগম নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলো। মোট ৩৩টি ওয়ার্ড হলেও ১৭নম্বর ওয়ার্ড বাদে ৩২টি ওয়ার্ডের নির্বাচন হলো শনিবার। বাদ যাওয়া ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী গোকুল পাল প্রয়াত হওয়ায় আপাতত সেই ওয়ার্ডে পালন বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার সকাল ৭টা থেকে নির্বাচন শুরু হয়। পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী রাজ্য পুলিশই এই ভোটের নিরাপত্তার দায়ভার গ্রহন করে। সকালে মক পোল মিটতেই ৩২টি ওয়ার্ডের ১৭৩টি বুথে নির্বাচন শুরু হয়। মোট ১২১জন প্রার্থী রয়েছেন এবার চন্দননগরের পৌর নির্বাচনে। সকালেই বুথ জ্যামের অভিযোগ ওঠে ৫নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যামের অভিযোগ তোলে বিজেপি।

যদিও কিছুক্ষন পরই পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। একইভাবে ৬নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীর সাথে সিপিএম ও নির্দলের মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে চরম বচসার সৃষ্টি হয়। এখানেও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বিজেপির ১২ও ২৭নম্বর ওয়ার্ডের দুই মহিলা প্রার্থীকে তৃণমূল মারধর করে বলে অভিযোগ তোলে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন দুপুর তিনটে নাগান তাঁরা চন্দননগর মহকুমা শাসক দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। দিনভর বেশকয়েকটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম সহ ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। প্রতিটি অভিযোগের পরই পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে।

বিভিন্ন ওয়ার্ডের বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ তোলে সিপিএমের হুগলী জেলা কমিটির সম্পাদক পিনাকী চক্রবর্তী। কংগ্রেসের প্রদেশ নেতা প্রীতম ঘোষ বলেন আমরা কংগ্রেসের ভালো ফলের আশা না করেই বলছি তৃণমূল কিন্তু সর্বদা সুষ্ঠ ভোটদানে বাঁধা দিয়েছে। বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা কমিটির যুব সভাপতি সুরেশ সাউ চন্দননগরের এই নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দিকে দিকে সন্ত্রাস করার অভিযোগ তোলে। যদিও এদিন বিরোধীদের ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পক্ষে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন চন্দননগরের সর্বত্র সুষ্ঠভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এদিন চন্দননগরের ১৭৩টি বুথে মোট ৭৪.১৭শতাংশ ভোট পরেছে।