হাওড়া, ১০ ফেব্রুয়ারি:- জন্মদাত্রী মায়ের মৃত্যুর পরে যাঁর গাওয়া গান শুনে কেটেছে জীবন সেই মেলোডি কুইন লতা মঙ্গেশকরকেই মায়ের আসনে বসিয়েছিলেন হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মাজুর বাসিন্দা পেশায় দর্জি অমর বিলুই (৫৫)। হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মাজুতে একটি ছোটো টেলারিং শপের মালিক বছর পঞ্চান্নর অমর বিলুই ছোটবেলা থেকেই গানপাগল। ছোট থেকে গান শুনতেই তাঁর ভালো লাগত। বড় হয়ে দর্জির দোকান করার পরে সারাদিন বাজত রেডিওতে গান। সব চেয়ে ভালো লাগত লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া গানগুলো। দোকানে যেখানে বসে কাজ করতেন সেখানেই নিজের মাথার উপরে লাগিয়েছিলেন সংগীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের ছবি। কয়েক বছর আগে মাতৃবিয়োগ হওয়ার পরে ভক্তিতে শ্রদ্ধায় লতা মঙ্গেশকরকেই মায়ের সমান আসনে বসান অমরবাবু। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর তাই তিনি মায়ের আসনে স্থান দেওয়া লতাজি’র প্রয়াণে ৭ দিনের অশৌচ পালন করেছেন।
এরপর মানস মা, সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের পারলৌকিক কাজ শুরু করেছেন মধ্যবয়স্ক অমর বিলুই। বৃহস্পতিবার হয়েছে ঘাটের কাজ। মাথা মুন্ডন করেছেন। শুক্রবার বিধিমতে করবেন শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। এরপর করবেন নিয়মভঙ্গের অনুষ্ঠান। সেই মৎসমুখ বা নিয়মভঙ্গের দিনে অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। নিজের বাড়িতেই প্যান্ডেল করেছেন। প্রায় ২০০ জন অতিথিকে ইতিমধ্যেই সেদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। হিন্দু প্রথা মেনে সাতদিনের অশৌচ পালনের শেষে ঘাট কাজের প্রস্তুতি ছিল এদিন। জন্মদাত্রী মায়ের বেলায় যেমনভাবে অশৌচ পালন করেছিলেন, এবারে মানস মায়ের বেলায়ও সেইভাবেই সাতদিন ধরে হবিষ্যান্ন ভোজন করেছেন। শুক্রবার বিধি মেনে করবেন মানস মা লতা মঙ্গেশকারের শ্রাদ্ধশান্তি। শনিবার নিয়মভঙ্গের দিনে ২০০ জনেরও বেশী মানুষকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াবেন তিনি। বাড়িতে ইতিমধ্যেই প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সকাল থেকেই মাইকে বাজছে সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের গান।