হুগলী, ৫ ফেব্রুয়ারি:- রিষড়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এদিন সকাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্ডের প্রার্থী পদ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গত পুরসভার ইলেকশনে এখান থেকে জয়লাভ করেছিলেন শুভজিৎ সরকার ।এ বছর এই আসনটি এস সি জেনারেল হওয়ায় হওয়ায় এখানকার তৃণমূল কর্মীরা আশা করেছিলেন এখানে থেকে ঝুম্পা দাস সরকার প্রার্থী হবেন। প্রথম তালিকায় ঝুম্পার নামও ছিল। পরে দেখা যায় সেই জায়গায় অন্য একজনের নাম তালিকায় রয়েছে। এরপর এই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায়। এই সিদ্ধান্তে গতকাল রাত থেকেই ওয়ার্ডের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আজ সকাল হতেই এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় নেমে আসেন তাদের বক্তব্য বিগত বছরগুলোতে এই ওয়ার্ডে যেভাবে শুভজিৎ সরকার কাজ করেছেন তা এক কথায় নজিরবিহীন যেকোন প্রয়োজনে রাত বিরেতে মানুষের পাশে থেকেছেন শুভজিৎ সরকার। করোনাকালে মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সবরকম সাহায্য করেছেন ভ্যাক্সিনেশন থেকে শুরু করে
দুঃস্থ মানুষদের দুপুরের আহার এর জন্য রান্নাঘর চালিয়েছিলেন অত্যন্ত সুচারুভাবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষদের অভিযোগ এবার এখানে যাকে প্রার্থী করা হয়েছে সেই শর্মিষ্ঠা দাস একসময় এখানকার কাউন্সিলর ছিলেন। কিন্তু সেই সময় তাঁর যে অ্যাক্টিভিটি ছিল, সেটা ছিল অত্যন্ত জনবিরোধী। মানুষের কোনো উপকারে তিনি দাঁড়াননি। এই ওয়ার্ডের কোন মানুষ তার কাছে গেলে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার তার কাছে পেয়েছে। এবারে সেই শর্মিষ্ঠাকেই আবার প্রার্থী করা হল। একপ্রকার আসনটি বিরোধীদের হাতে তুলে দেয়া হলো। কারণ এই ওয়ার্ডে বিগত পাঁচ বছরে নিরন্তন পরিশ্রম করে শুভজিৎ সরকার মডেল ওয়ার্ড তৈরি করেছিলেন। তা কিন্তু এই প্রার্থীর জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এখান থেকে তৃণমূল প্রার্থী ডাক্তার সুদীপ্ত রায় কে বিপুলভাবে করার প্রধান কারিগর ছিলেন শুভজিৎ। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় তৃণমূল নেতৃত্ব কোন হিসাবে কাছের মানুষ শুভজিৎ সরকার এর স্ত্রী ঝুম্পা দাস সরকারকে প্রার্থী না করে এমন একজনকে করল যার এই এলাকার গ্রহণযোগ্যতা একেবারেই নেই। এখানকার বাসিন্দারা বলেছেন দিদি আমাদের এখান থেকে এই প্রার্থীকে সরান, না হলে এখানকার তৃণমূল সংগঠনের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।