মহেশ্বর চক্রবর্তী, ৫ ফেব্রুয়ারি:- শুক্লা পঞ্চমীর সকাল থেকেই বাঙালি বসন্ত উদযাপন নেমে পড়ে। ক্যালেন্ডারের ভ্যালেন্টাইন ডে তে অঘোষিত প্রেমদিবসে মেতে ওঠে বাঙালি। তারপর রংবেরঙের শাড়ি আর পাজামা-পাঞ্জাবীর ভিড়ে ঠাসা স্কুল কলেজ জানিয়ে দেয় সরস্বতী পুজো। বাকদেবীর আরাধনার পাশাপাশি ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে অজানা পথে ঘোরাঘুরি। হ্যাঁ, ভালোবাসার দিন। এই বছর করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা ছন্দপতন হলেও করোনাকে উপেক্ষা করে হুগলি জেলার আরামবাগ শহরটা ছিলো কলেজ পড়ুয়া থেকে স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের ভির ছিলো ছোখের পড়ার মতোন।
ভোরবেলা স্নানের পরই হলুদ শাড়ি পরে কচিকাচাদের অঞ্জলি দেওয়ার ধুম, সকাল থেকেই দেখা গিয়েছে পাড়ায় পাড়ায়। এদিকে স্কুলের রোজের ইউনিফর্ম ছেড়ে এই একটা দিনই সুযোগ রঙবে রঙের জামা পড়ার। যে স্কুলগুলোতে বছরের অন্যান্য দিন যাওয়া যায় না সেই স্কুলে ঢোকবার সুযোগ এ দিনেই হয়ে থাকে। ঠাকুর দেখার ছুতোতে স্কুলে কলেজে ঘুরতে যাওয়ার মজায় মশগুল কিশোর থেকে তরুণ। তবে এদিন শাড়ি ও পাঞ্জাবির সাথে কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি হিসাবে মাস্কটা দেখা যাচ্ছে। ক্যালেন্ডারে যতই ভ্যালেনটাইন সপ্তাহ পালন হোক না কেন বাঙালির সরস্বতী পুজো মানে অঘোষিত প্রেম দিবস। এদিন আরামবাগ গার্লস স্কুল, আরামবাগ হাই স্কুল ও আরামবাগ নেতাজী মহাবিদ্যালয়ে ছিলো উপচে পড়া ভির। সকাল থেকেই রংবেরঙের শাড়ি আর পাজামা-পাঞ্জাবীর ভিড়ে ঠাসা স্কুল কলেজ জানিয়ে দেয় সরস্বতী পুজোর আনন্দ।