এই মুহূর্তে কলকাতা

আই এস ক্যাডার আইন সংশোধনের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা,১৮ জানুয়ারি:- আই এস ক্যাডার আইন সংশোধনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। ওই আইন সংশোধনের মাধ্যমে আমলাদের নিয়ন্ত্রণের সার্বিক ক্ষমতা কেন্দ্র নিজে হাতে কুক্ষিগত করতে চাইছে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন। তার মতে এ ধরনের ব্যবস্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং কেন্দ্র-রাজ্য সুসম্পর্কের পক্ষেও ক্ষতিকর হবে। মুখ্যমন্ত্রী ওই আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, আইন সংশোধনের কেন্দ্র সরকারের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থীই নয়, এটি আইএএস এবং আইপিএস অফিসারদের নিয়ে এযাবৎ দেশের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে যে সদ্ভাব বজায় ছিল তাকেও খন্ডন করে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, আইএএস এবং আইপিএস অফিসারের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তার ফলে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারকেই বিস্তর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেক সময়েই। দেশ ও রাজ্যের নানা সংকটময় পরিস্থিতিতে আমলারা যে ভূমিকা পালন করেন তা অতুলনীয়। দেশ ও রাজ্যের প্রশাসন এই আমলা ছাড়া অচল। কিন্তু কেন্দ্র সরকার আইন সংশোধনের মাধ্যমে যা করতে চাইছে তাতে রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সংশোধনে বলা হচ্ছে আমলাদের নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মতবিরোধে কেন্দ্রের পক্ষেই ঝুঁকবে সমাধান। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এ ঘোর অনর্থ। রাজ্য সরকার

কেন্দ্রের কাজে সবসময়ই আমলাদের ছেড়ে দেয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। বস্তুত, আইএএস বা আমলাদের রাশ কেন্দ্র না রাজ্য, কার হাতে থাকবে, সেই নিয়ে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সাধারণত আমলাদের রাশ থাকে কেন্দ্র রাজ্য উভয়ের হাতেই। যখন কেন্দ্রের কাজে কোনও আমলা নিযুক্ত থাকেন তখন তিনি কেন্দ্র সরকারের অধীন, আবার যখন তিনি রাজ্যের কাজে থাকেন তখন তাঁর রাশ থাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের হাতে। কিন্তু সম্প্রতি ১৯৫৪ সালের সেই আইএএস (ক্যাডার) আইন সংশোধন করতে চাইছে কেন্দ্র। তাতেই আপত্তি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় যেন আঘাত না করা হয়, সেই অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর কাছে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।