এই মুহূর্তে জেলা

শিয়রে করোনা , ভোট প্রচারে টেলি কলার তৃণমূল প্রার্থীর !

সুদীপ দাস, ১২ জানুয়ারি:- বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গোটা চন্দননগরে শুরু করেছে প্রচার। দেওয়াল লিখন, ব্যানার-হোর্ডিং টাঙানো তো রয়েইছে। তবে কোভিড বিধি থাকায় এখনও পর্যন্ত কোন দলই সভা করার সাহস দেখায়নি। তাই বাড়ি-বাড়ি প্রচারেই জোর দিয়েছে প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমত ৫জনের বেশী লোক নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করা যাবে না। বড় দলের ক্ষেত্রে মাত্র ৫জন নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারেও সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কর্মীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রন করতে অসুবিধায় পরছেন অনেকে।

খোদ চন্দননগরের ২৬নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি প্রচারে অতিরিক্ত কর্মী থাকায় দিন কয়েক আগে গ্রেফতারপর্যন্ত হয়েছে বিজেপি বিধায়ক সহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। এই পরিস্থিতিতে প্রথম ধাপে একবার বাড়ি-বাড়ি প্রচারের পাট সেরে প্রযুক্তির পথে হাঁটা শুরু করলেন চন্দননগরের ২নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মোহিত নন্দী। তিনি নিজ ওয়ার্ডের কাঁটাপুকুর এলাকায় তৈরী নির্বাচনী কার্যালয়ে টেলি কলার ব্যাবস্থা চালু করলেন। দলেরই ৬জন মহিলা কর্মী শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে সেই নির্বাচনী কার্যালয় থেকে এলাকার প্রত্যেকটি বাড়িতে ফোন করে তৃণমূলকে ভোট দানের আবেদন জানাচ্ছেন।

দুটি ঘরে মোট ৬টি টেবিলে ৬জন মহিলা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওয়ার্ডের ভোটারদের ফোন করে প্রথমেই পরিচয় দিয়ে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ২নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক মোহিত নন্দীকে ভোটদানের আবেদন জানাচ্ছেন। প্রথমদিন টেলি কলারদের হাতে ভোটারদের ফোন নাম্বারের তালিকা তুলে দিয়ে গোটা বিষয়টি বুঝিয়ে দেন। এরপর মহিলা কর্মীরা ফোন নাম্বার ধরে ধরে ভোটারদের কল করে মোহিতবাবুকে ভোট দানের আবেদন জানান।

কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট প্রচারে অভিনব এই টেলি কলারের দ্বায়িত্ব পেয়ে খুশি মহিলা কর্মীরাও। মোহিতবাবু বলেন বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সবার আগে মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখতে হবে। ভিড় এড়াতে আমি মোবাইলেই প্রচার করছি। তৃণমূল প্রার্থীর এহেন প্রচারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ২নম্বর ওয়ার্ডের ভোটাররাও। তাঁরা বলেন ভোট মানেই বাড়িতে বাড়িতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আগমন।

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাড়ি-বাড়ি ভিড় না করে এভাবে প্রচার এককথায় অনবদ্য। যদিও তৃণমূলের এহেন প্রচারকে তাঁদের কপি বলেই দেখছে বিজেপি। এবিষয়ে বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন ডিজিটাল প্লাটফর্মটির ব্যাবহার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই প্রথম দেখিয়েছেন। তখন তৃণমূল অনেক কটাক্ষ করেছে। এখন তৃণমূলই প্রারের জন্য সেই প্লাটফর্মকে বেছে নিচ্ছে।