কলকাতা, ১১ জানুয়ারি:- রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোভিড বিধি উড়িয়ে ও কমিশনের নির্দেশ অমান্য করে পুর ভোটের প্রচার করার তিন প্রার্থীকে শোকজ করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই জবাব সন্তোষজনক না হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পুরভোটের প্রচারে পরিবেশ দূষণ আটকাতে কমিশন আজ একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে। শব্দদূষণ রোধ করতে লাউডস্পিকার এবং তারস্বরে মাইক বাজানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলিকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে বলা হয়েছে। রাত ৯টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মাইক বাজিয়ে বা কোন রকম প্রচারেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ভোটগ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগেই যাবতীয় প্রচারপর্ব শেষ করতে বলা হয়েছে। ভোট প্রচারে প্লাস্টিকের তৈরি পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াই মিলছে। কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জমা পড়েছে তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তাঁদের শোকজ করা হয়েছে। কী কারণে বিধি লঙ্ঘন হল, তা জানতে চেয়ে অভিযুক্তদের নোটিস ধরিয়েছে কমিশন। রাজ্যে করোনার গ্রাফ উর্দ্ধমুখী। এর মাঝেই আয়োজিত হচ্ছে চার পুরসভার ভোট। আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর ও চন্দননগরে আগামী ২২ জানুয়ারি ভোট। এদিকে করোনার গ্রাফ বাড়ছেই। তাই একগুচ্ছ নির্দেশিকা আগেই জারি করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
যার মধ্যে উল্লেখ ছিল, কোনও দলের প্রার্থী পাঁচজনের অধিক কর্মী নিয়ে প্রচার করতে পারবে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে জোর দিতে হবে, বড় জনসভা করা যাবে না। ভার্চুয়ালি বা অনলাইনে করতে হবে প্রচার। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কিন্তু বেশকিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ বিরোধী দল বিশেষ করে বিজেপি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই প্রচার চালাচ্ছে। চন্দননগরেও পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ পুরভোটের প্রার্থীর জন্য বিশাল মিছিল করে। যার জন্য গ্রেফতার হন ওই প্রার্থী সহ বিজেপি বিধায়ক। সেই চেনা চিত্র ধরা পড়ছে আসানসোলেও। তাই কড়া পদক্ষেপ নিল কমিশন।