এই মুহূর্তে জেলা

ঝাড়খন্ডের প্রতিভাবান রাইফেল শুটার আত্মঘাতী বালির গেস্ট হাউসে। জাতীয় স্তরের ট্রায়ালে ব্যর্থতাই কারণ বলে অনুমান।

হাওড়া, ১৬ ডিসেম্বর:- মাত্র কুড়ি দিন আগেই জাতীয় স্তরের একটি প্রতিযোগিতায় ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়েছিলেন তিনি। আর এরপরই সম্ভবত মানসিক হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। হাওড়ার বালিতে ঝাড়খণ্ডের প্রতিভাবান এক রাইফেল শুটারের আত্মঘাতী হওয়ার নেপথ্যে এমন ঘটনাই উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। দেশের ওই প্রতিভাবান রাইফেল শুটার কণিকা লায়েকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হাওড়ায়। তিনি আদতে ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা হলেও কলকাতায় অনুশীলনের সুবাদে গত কয়েক মাস যাবৎ হাওড়ার বালির একটি গেস্ট হাউসে তিনি থাকতেন। এই ঘটনায় কার্যত হতবাক মৃতার পরিবার থেকে শুরু করে কোচ, গেস্ট হাউসের বাসিন্দারা সকলেই। বুধবার দুপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। কণিকা লায়েক নামে ওই শুটার ধানবাদের ধানসারের বাসিন্দা। অনুশীলনের জন্য বালির এক গেস্ট হাউসে বসবাস করছিলেন তিনি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়।

এই ঘটনায় মৃতার একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। কণিকা ঝাড়খণ্ডের হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন। বালির বীরেশ্বর চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মুক্তিনীড় নামে একটি গেস্ট হাউসে কণিকা গত ১৯ জুলাই ২০২১ এসেছিলেন। এখান থেকেই কলকাতায় এয়ার রাইফেল শুটিং প্র‍্যাকটিস করতে শুরু করেন তিনি। এর পাশাপাশি বালির পিএন বোস রোডেও তিনি নিয়মিত অনুশীলন করতেন। গেট হাউসের তিনতলায় আরও ৭ জন পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন। ঘটনার দিন বাকিরা নিজেদের কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ঘর ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কণিকা আত্মহত্যা করেন বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যস্তরে পদকজয়ী এই শুটার দিন ২০ আগে জাতীয় স্তরের একটি প্রতিযোগিতার ট্রায়ালে নেমেছিলেন। সেই প্রতিযোগিতায় অকৃতকার্য হন তিনি। সম্ভবত সেই ঘটনার পরেই অবসাদে এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। কণিকার সিনিয়ার কোচ মনজিৎ কর্মকার জানান, কণিকা খুব মন দিয়ে প্রাকটিস করত। একবার শেখালেই শিখে নিতো। ও খুব তাড়াতাড়ি শুটিংয়ে উন্নতিও করছিলো। এরমধ্যেই ঘটে গেলো এমন ঘটনা। এই ঘটনায় বালিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।