এই মুহূর্তে জেলা

পঞ্চায়েতের অনুমতি সাপেক্ষে স্বাস্থ্যশিবির, বেহুশ হয়ে ফিরলো ৭, ফেরেনি ৪, চাঞ্চল্য পান্ডুয়ায়!

সুদীপ দাস, ১০ ডিসেম্বর:- গত মঙ্গলবার পান্ডুয়া থানার ক্ষিরকুন্ডি-নিয়ালা-নামাজগ্রাম পঞ্চায়েতের অনুমতি সাপেক্ষে বর্ধমানে একটি বেসরকারী হাসপাতাল স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করে পঞ্চায়েত এলাকার একটি বিদ্যালয় ভবনে। অভিযোগ সেই শিবির থেকেই মোট ১১জনকে অতিরিক্ত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমানের সেই বেসরকারী নার্সিং হোমে। এরপর ১১জনের পরিবারের লোকেরা বুধবার বর্ধমানে গেলেও রুগীদের সাথে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। গতকাল স্থানীয়রদের চাপে পরে পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ-প্রধান যথাক্রমে হাসিনা খাতুন ও বেবি বাউল দাস বর্ধমানের ওই হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে পান্ডুয়ায় ফেরার পথে ক্ষিরকুন্ডি পঞ্চায়েতের সামনে থেকে গাড়ি থামিয়ে প্রধান ও উপ-প্রধান চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয়রা তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে এলে ৭জনকে নীচে পরে থাকতে দেখে। এরপরই তড়িঘড়ি সকলকে পান্ডুয়া গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কয়েকজনকে চুঁচুড়ায় স্থানান্তর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে রুগীদের হুঁশ ফিরতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। তাঁরা জানায় দুদিন ধরে তাঁদের শরীরে বারংবার ছুঁচ প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পরেছে। বাকি ৪জনও সেখানেই রয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পান্ডুয়া এলাকা জুড়ে। হাসপাতালে উপস্থিত হয় পুলিশ। অভিযোগ উঠছে এর পিছনে রয়েছে অনেক বড় জাল চক্র। বাকি চার জনের খোঁজ করছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্ত পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের খোঁজে তল্লাশী শুরু হয়েছে। এর পিছনে কোন বড়সর জালচক্র রয়েছে বলে অভিযোগ।