আরামবাগ, ৯ ডিসেম্বর:- সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসল হুগলির আরামবাগ পৌরসভা। কৃষকদের দাবি মেনে স্লুইসগেট তৈরি করার উদ্যোগ নিল আরামবাগ পৌরসভা। যাতে করে মাঠের জমা জল দ্বারকেশ্বর নদীতে দ্রুত নামতে পারে। এদিন এইজন্য আরামবাগ পৌরসভা ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা আরামবাগ পৌরসভার অন্তর্গত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুর এলাকায় সার্ভে শুরু করলো। জানা গেছে আরামবাগ পৌরসভার পক্ষ থেকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুরে স্লুইসগেটের জন্য যে আবেদন করেছিলো তার ভিত্তিতে এদিন সেচ দপ্তর সার্ভে ও পরিদর্শন করে। উল্লেখ্য দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় চারশো কৃষকের নাজে হাল অবস্থা। মাঠে জল জমে একদিকে যেমন ফসল নষ্ট হচ্ছে তেমনি রাস্তায় জল জমে সমস্যায় রয়েছেন কৃষকেরা। ঘটনাটি ঘটছে হুগলির আরামবাগ পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। আরামবাগ পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের কৃষক সম্প্রদায়ের বাস দেখা যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো আরামবাগ পৌরসভার দৌলতপুর। এই ওয়ার্ডের কয়েক দশকের সমস্যা হলো নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বারে বারে আরামবাগ পৌরসভার দ্বারস্থ হয় কৃষকেরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ কৃষকদের। পর পর দুই বছর বৃষ্টির জলে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন আরামবাগ পৌরসভার প্রতিনিধিরা। কিন্তু সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি কৃষকেরা।
তাদের একমাত্র দাবী দৌলতপুর এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা মজবুত করার জন্য একটি ভালো ড্রেন ও দ্বারকেশ্বর নদীতে একটা স্লুইসগেট প্রয়োজন।যাতে করে দৌলতপুর এলাকার মাঠের জল দ্রুত নদীতে নেমে যায়।মাঠ থেকে জল নদীতে নেমে গেলে প্রায় চারশো কৃষক বেঁচে যাবে এবং কয়েকশো বিঘার জমির ফসল আর নষ্ট হবে না। কিন্তু ওই এলাকার কৃষকদের দাবী বারে বারে প্রশাসনকে জানালেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। পরিদর্শন হচ্ছে। আশা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে কাজ হচ্ছে না। জানা গিয়েছে আরামবাগ পৌরসভার একটি প্রতিনিধি দল সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে ওই এলাকা আবারও পরিদর্শন করেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে সমস্যাটি আলোচনা করেন। এই বিষয়ে দৌলতপুর এলাকার একজন কৃষক জানান,আমাদের প্রধান সমস্যা হলো ড্রেন। নদীতে স্লুইসগেট হলে জল নেমে যাবে। তাহলে চাষবাস করে বেঁচে থাকবো।অন্যদিকে আরামবাগ মহকুমা সেচ দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, পুরো এলাকাটা জল জমে যাওয়া নিয়ে একটা সার্ভে করার প্রয়োজন আছে।সেই মতো একটি স্লুইসগেট তৈরি করার একটা পরিকল্পনা নেওয়া হবে। জলের লেভেল দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো এদিন সেচ দপ্তর ওই এলাকায় সার্ভে করার কাজ শুরু করে। এই বিষয়ে আরামবাগ পৌরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী জানান, ওই এলাকায় একটা সার্ভে করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।পৌরসভা ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা আছেন।সার্ভে করে কিভাবে মাঠের জমা জল নদীতে ফেলা যায় সেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। উপস্থিত ছিলেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি পৌরসভার আধিকারিক ও পৌরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী। এখন দেখার কৃষকদের স্বার্থে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয়।