হুগলি, ৩ ডিসেম্বর:- মনের জোর থাকলে পর্বতের সর্বোচ্চ শিখরে যেমন ওঠা যায় তেমনি অনায়াসেই নদী পার হওয়া যায়। তাই জীবন সংগ্রহের প্রতিকুলতাও জয় করা সম্ভব যদি মনের জোর থাকে। এমনটাই মনে করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মহল। ৩রা ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস। সারা বিশ্ব জুড়ে মর্যাদার সাথে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়। সেই মতো হুগলি জেলার আরামবাগের রবীন্দ্র ভবনে পালিত হয় বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস। শারীরিক অসম্পূর্ণতা নিয়ে জন্ম নিলেও কেবল মনের জোর নিয়ে বহু বিশেষ চাহিদা সম্পর্ন মানুষে বহু কঠিন কাজ করে চলেছেন। এমন কিছু প্রতিবন্ধকতা তাদের শরীরে আছে, যা কোনও দিনই ঠিক করা সম্ভব নয়। সব জেনেও সেই মানুষগুলো মনের জোরে লড়ে চলেছেন। এদিন আরামবাগে রবীন্দ্র ভবনে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,
আরামবাগ পৌরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী, আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জগন্নাথ দাস, দিপক মাঝি, বিশিষ্ট শিক্ষক আশীষ রায়, আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরাসহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বসে আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিশেষ চাহিদা সম্পর্ন ছাত্র ছাত্রীরা।কোভিড প্রোটোকল মেনে কবিতা আবৃত্তি, গান ও আলোচনা সভা হয়।এই বিষয়ে বিশিষ্ট শিক্ষক আশীষ রায় জানান, সারা বিশ্বের সাথে আরামবাগেও বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হচ্ছে। আরামবাগ চক্র সম্পদ কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।সহযোগীতায় রয়েছে আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন থেকে শুরু করে পৌরসভা, ব্লক প্রশাসন ও আরামবাগ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় দৌলতপুর। সবমিলিয়ে সারা জেলা জুড়ে এই সমস্ত বিশেষ চাহিদা সম্পর্ন মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন উপস্থিত সকল মানুষ।