এই মুহূর্তে জেলা

বয়স্কদের সঙ্গী হয়ে নব্যদের সামাজিক দায়বদ্ধতা শেখাতে অভিনব উদ্যোগ পুলিশের।

সুদীপ দাস, ২ ডিসেম্বর:- অপরাধ এবং সমাজ এই দুইয়ের মধ্যবর্তী স্থানের দূরত্ব আজ বড়ই কমছে। একটা সময় ছিল যখন দুটোই আলাদা জগৎ হিসাবে চিহ্নিত হত। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক জগতে থেকেই বহু মানুষ অপরাধ জগতের সাথে জড়িয়ে পরছে। বিশেষ করে ১৮থেকে ২৫বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে অপরাধ জগতের সাথে জড়িয়ে পরা আজ অবাস্তবিক নয়। এই বয়সের পড়ুয়ারা মাদক সহ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হয়ে পরছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে অনেকেই যা থেকে ধীরে ধীরে অসামাজিক জগতে পা রাখছে। এদের মধ্যে বেশীরভাগ নব প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাই হাতে থাকা সময় এভাবে অপচয় করছে। সেইসমস্ত ছেলে-মেয়েদের কথা ভেবেই চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে এক সমসাময়িক আলোচনার আয়োজন করা শুরু হলো। বিষয় “অপরাধ এবং সমাজ”। বিভিন্ন কলেজে কলেজে এই আলোচনা চলবে।

বৃহস্পতিবার হুগলী ওমেনস কলেজে “অপরাধ এবং সমাজ” বিষয়ক এই আলোচনা সভায় ছাত্রীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার অর্নব ঘোষ, ডিসিপি চন্দননগর বিদিত রাজ বুন্দেশ, কলেজের অধ্যক্ষা সীমা ব্যানার্জী, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, পৌরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখার্জী সহ অন্যান্যরা। এখানে ভিস্যুয়াল ডিসপ্লের মাধ্যমে নব প্রজন্মের মানুষদের সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে অবগত করানো হয়। পাশাপাশি ছাত্রীদের অতিরিক্ত সময়টা অসহায় বয়স্ক মানুষদের পাশে কাটানোর অনুরোধ জানানো হয়। তাঁদেরকে বলা হয় পুলিশের কাছে এমন অনেক বয়স্ক নাগরিকের তথ্য রয়েছে যারা বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটে একাকী থাকেন। পরিবারের অন্যান্যরা হয় নেই, নয়তো দেশ-বিদেশে রয়েছেন। সেইসমস্ত মানুষদের পাশে থাকলে একাকিত্বে ভোগা মানুষরা যেমন সঙ্গী পাবেন আবার নব প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের সঠিক অনুভূতি লাভ করবে। যা থেকে তাঁদের অপরাধ জগতে যাওয়ার প্রবনতাও কমবে।