এই মুহূর্তে জেলা

কামারকুন্ডুতে ফ্লাইওভার নিয়ে জটিলতা কাটাতে উদ্যোগী বেচারাম মান্না।

হুগলি , ২৭ নভেম্বর:- কামারকুন্ডু লেভেল ক্রসিং এলাকায় নির্মিত ফ্লাইওভার নিয়ে উদ্ভূত জটিলতা কাটাতে উদ্যোগী হলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। উদ্ভূত সমস্যার সুষ্ঠ সমাধানের লক্ষে শনিবার মন্ত্রীর উদ্যোগে সিঙ্গুরের কেজিডি গ্রামপঞ্চায়েতের সভা কক্ষে প্রশাসনিক স্তরের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পি দিপাপপ্রিয়া, হরিপালের বিধায়ক করবি মান্না, চন্দননগরের মহকুমা শাসক, ভিডিও সিঙ্গুর, রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিক এস কে যাদব, জিআরপি এবং গ্রামীন পুলিশের অধিকারীক প্রমুখ। বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানিয়েছেন, আন্ডারপাসের গুরুত্ত্ব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তুলে ধরাহয়েছে লেভেল ক্রসিং এর দুদিকেরি গুরুত্ত্ব অপরিসীম। দুদিকেই স্কুল কলেজ, ব্যাঙ্ক, বাজার, হাট, রেশন, বিদ্যুৎ অফিস ইত্যাদি রয়েছে। তাই বাসিন্দাদের দুপাশেই যাতায়াতের প্রয়োজন রয়েছে। রেলের আধিকারিকদের তরফে বাসিন্দাদের দাবি গুরুত্ত্ব সহকারে বিচার করে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।

খুব তাড়াতাড়ি শুরু করে আগামী তিন মাসের মধ্যে আন্ডারপাস তৈরির কাজ শেষ করা হবে। উড়ালপুল চালু করা হবে। তবে যতদিন আন্ডারপাসের কাজ শেষ না হয় ততদিন লেবেল ক্রসিং এ যাতায়াতের জন্য পাঁচ ফুট জায়গা খোলা রাখা হবে। গত ১৮ জুন পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়েছিল কামারকুন্ডু রেল ফ্লাইওভার। একইসঙ্গে সেই দিনই রেলের তরফে ফ্লাইওভারের নীচে থাকা লেভেল ক্রসিং সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। লেভেল ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হলে সমস্যা সৃষ্টি হবে এই অভিযোগে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, উড়ালপুল তৈরীর কাজ সম্পূর্ণ শেষ না করেই তা খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উড়ালপুলের দুদিকে হাট বাজার বসে। দৈনিক সংলগ্ন প্রায় কুড়িটা গ্রামের মানুষ সেখান দিয়ে যাতায়াত করে। উড়াল পুলের তলার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হলে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। গ্রামবাসীরা দাবী তোলে আন্ডার পাশের।

এবিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক মন্ত্রী ও রেলকে চিঠি দেয় গ্রামবাসীরা লেবেল ক্রসিং সংলগ্ন এলাকার একাধিক গ্রামে কয়েক হাজার মানুষ। লেবেল ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হলে সমস্যায় পড়বেন স্থানীয় বয়ষ্ক সাধারণ মানুষ। দলুইগাছা দিক থেকে ভোলার দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে সকলকেই ফ্লাইওভার ব্যবহার করতে হবে। যা বয়স্ক মানুষদের কাছে বাস্তবে অসম্ভব। এর ফলে দুর্ঘটনা বাড়বে। স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পরের দিনই আবার বন্ধ হয় উড়ালপুল। গত ২০১৪ সালে শিলান্যাসের পর ২০১৬ সালে কামারকুন্ডু রেল স্টেশনের সামনে উড়ালপুল তৈরীর কাজ শুরু হয়। বৈদ্যবাটি তারাকেশ্বর রোডের উপর এই উড়ালপুলের এলাকার মানুষের দাবী ছিলো দীর্ঘদিনের। লেভেল ক্রসিং এ নিত্য যানজট যন্ত্রনার শিকার হতে হত মানুষকে। উড়ালপুলের কাজ দ্রুত গতিতে শুরু হলেও জমি সমস্যায় মাঝে মধ্যেই থমকে থেকেছে কাজ। অবশেষে প্রায় পাঁচ বছর পর সেই উড়ালপুল তৈরির কাজ শেষ হয়।