কলকাতা, ২৫ নভেম্বর:- রাজ্যের সংশোধনাগারের আবাসিকদের সামাজিক সম্পর্কে সাবলীল করতে প্যারোলের মেয়াদ বাড়ানো হল। এখন থেকে বিভিন্ন মেয়াদের বন্দীরা বছরে সর্বোচ্চ ৪০ দিন প্যারোলে মুক্তি পেতে পারবেন বলে সংশোধনাগার বিষয়ক দফতর ঘোষণা করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত মেয়াদের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ১৫ দিন। ১৪ বছর পর্যন্ত সময়সীমার জন্য প্রথম পাঁচ বছরে বছরে ২১ দিন ও পরবর্তী সময়ের জন্য বছরে ৩০ দিন মুক্তি পাবেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার সর্বোচ্চ সীমা ৪০ দিন। ওয়েস্ট বেঙ্গল কারেকশনাল সার্ভিসেস (রিলিজ অন প্যারোল) রুলস, ২০২১ বিধানসভার আগামী অধিবেশনে অনুমোদিত হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর প্রকাশ পেয়েছে গেজেট বিজ্ঞপ্তি। বলা হয়েছে, প্যারোলে মুক্তির গোটা রেকর্ড কাগজের নথি বা বৈদ্যুতীন উপায়ে বা দু’টি ক্ষেত্রেই রাখতে হবে। সেই রেকর্ড আইজির পাশাপাশি নির্দিষ্ট জেলে ও সংশ্লিষ্ট কয়েদির জন্য তৈরি সিস্টেমে রাখতে হবে।
দুই থেকে পাঁচ বছরের সাজার কয়েদিরা প্রথম বছর সাজা খাটার পরই প্রথমবার প্যারোলে মুক্তি পাবেন। ভাল আচরণ করে জেলে অন্তর্ভুক্তির পরবর্তী ৬ মাস পর দ্বিতীরবার ছাড়া হতে পারে। পাঁচ থেকে ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্তরা জেলে আসার দুই বছর পর ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা তিন বছর পর প্যারোলে ছাড়া পেতে পারেন। এই মুক্তির জন্য বন্দিকে জেল সুপারের কাছে আবেদন করতে হবে। জেল সুপার যাচাইয়ের পর তা আইজিকে পাঠাবেন। আইজি বিষয়টি নির্দিষ্ট জেলার এসপি বা নগরপালের কাছে মতামত চেয়ে পাঠাতে পারেন। পরবর্তীতে এসপি বা সিপি দুই সপ্তাহের মধ্যে আইজিকে জানিয়ে দেবেন। অন্যদিকে, বন্দিকে বন্ড দিতে হবে। তিনি মুক্তির সময়ে কোনও অপরাধে জড়িত থাকবেন না, আচরণও সঠিক হতে হবে। এছাড়াও তাঁর বসবাসের সংশ্লিষ্ট থানায় হাজিরা দিতে হবে। মেয়াদ শেষে নির্দিষ্ট জেলের সুপারের কাছে ‘সারেন্ডার’ করতে হবে।