এই মুহূর্তে জেলা

মদের ঠেকে পুলিশি হানা। পালাতে গিয়ে পুকুরে পরে মৃত্যু যুবকের।

সুদীপ দাস, ১৭ নভেম্বর:- মদের ঠেকে পুলিশি হানা। পালাতে গিয়ে পুকুরে পরে মৃত্যু যুবকের। প্রতিবেশীর বাড়িতে ভাঙচুর। উত্তপ্ত চুঁচুড়ার খড়ুয়াবাজার এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর মঙ্গলবার রাতে চুঁচুড়ার খড়ুয়াবাজার সংলগ্ন তালতলার বাসিন্দা বিশ্বনাথ দত্তের বাড়ির ধাঁপিতে বসে মদ্যপান করছিল ব্যাং পাড়ার বছর ২৬-এর যুবক শ্রীকান্ত মাল সহ আরও দু’জন। যা নিয়ে ওই যুবকদের সাথে হাতাহাতি হয় বিশ্বনাথ দত্তের। এরপরই বিশ্বনাথ দত্ত চুঁচুড়া থানায় ফোন করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। পুলিশ আসতেই তিন যুবক পালাতে শুরু করে। তালতলারই একটি পুকুরে পরে যায় শ্রীকান্ত। শ্রীকান্তের দিদির কথায় প্রথমে ভাই বাড়িতে এসে পোশাক পরিবর্তন করে। এরপর পুলিশ বাড়িতে এলে ভাই আবার বাড়ি থেকে পালিয়ে ওই পুকুরে ঝাঁপ দেয়।

তারপর আর ভাই বাড়ি ফেরেনি। বুধবার দিনভর পুকুরে নেমে শ্রীকান্তের খোঁজ শুরু করে ব্যাং পাড়ার ছেলেরা। বেলার দিকে পুকুরেই ডুবন্ত অবস্থায় শ্রীকান্তের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ পারে তুলতেই ক্ষোভে ফেটে পরে ব্যাং পাড়ার বাসিন্দারা। সকলে মিলে বিশ্বনাথ দত্তের বাড়িতে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বাড়িতে সেসময় বিশ্বনাথবাবু ছিলেন না। বিশ্বনাথের স্ত্রী রীতা দত্ত ও তাঁদের তিন মেয়ে বাড়িতে ছিলেন। ভাঙচুরে বাঁধা দিতে গিয়ে এক মেয়ে লক্ষ্মী মন্ডলের মাথা ফাঁটে। এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চুঁচুড়া থানার বিশাল পুলিশ গিয়ে বিশ্বনাথের স্ত্রী ও কন্যাদের উদ্ধার করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। শ্রীকান্তের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠায়। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে চুঁচুড়া থানা।