দ:২৪পরগনা, ৭ নভেম্বর:- আব্বাস সিদ্দিকির সভায় যেতে বাধা, ISF সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস পুলিশের! অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। নবীদিবস উপলক্ষ্যে ISF-এর ডাকা সভায় পুলিশি বাধা। রবিবার দুপুরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল ISF কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। জানা গিয়েছে, রবিবার ISF-এর তরফে ভাঙড় থানার অন্তর্গত নারায়ণপুরের পদ্মপুকুর গ্রামে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভা শুরুর আগেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সভায় যাওয়ার পথে ভোজেরহাটে আব্বাস সিদ্দিকির পথ আটকায় পুলিশ। সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন যারা, তাঁদেরও মাঝপথে আটকানো হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, সভার অনুমতি নেই। এদিকে বাধার মুখে পড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে আব্বাসের অনুগামীরা। অভিযোগ, এরপরই পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি আয়ত্তে এলেও এখনও এলাকায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইট। পরিস্থিতি যাতে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে সেদিকে নজর পুলিশের। আব্বাসের অভিযোগ, পুলিশ ও তৃণমূলের তরফে পরিকল্পনামাফিক সভায় বাধা দেওয়া হয়েছে। লাঠিচার্জ করা হয়েছে। তবে এভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। একই দাবি করেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
তাঁর কথায়, “মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সংঘবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথায়, সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে কথা বলছেন আব্বাস ও নওশাদ। পুলিশের দাবি, লাঠিচার্জ করা হয়নি। ঘটনার পর কিছুক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও উত্তপ্ত এলাকা। সভার উদ্দেশে আসা আইএসএফ সমর্থকদের কথায়, অনুমতি মিলেছিল বলেই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পরিকল্পনামাফিক বাধা দেওয়া হয়েছে। আইএসএফের অভিযোগ, শনিবার সভার আয়োজকদের বাড়িতে ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয়। সভা বাতিলের উদ্দেশ্যেই উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছিল। যাতে ভয়ে সভায় না যায় কেউ।