কলকাতা, ২৯ অক্টোবর:- রাজ্যে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। তার আগে স্কুল খোলার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা সেরে রাখতে রাজ্য সরকার জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে কভিদ বিধি মেনে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস শুরু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কলেজগুলির প্রিন্সিপাল দের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর।স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে সব জেলার জেলাশাসকদের এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশিকায় জেলাশাসকদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। স্কুল খোলার প্রস্ততি দেখভাল করতে জেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলাসাশসককে নোডাল অফিসার হিসাবে দ্বায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা ১ নভেম্বর থেকেই স্কুলে যেতে পারবেন। তার আগে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্কুলগুলিতে স্যানিটাইজেশনের কাজ সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী দের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় পাসের ব্যবস্থা করতে প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কঠোরভাবে কোভিড বিধি মেনে প্রয়োজনে হোস্টেল খোলার জন্য স্কুল গুলিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্কুল খোলার বিষয়টি দেখা শোনা করার জন্য স্কুল শিক্ষা দফতর জেলা স্তরেও একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে।
উল্লেখ্য দীর্ঘ সময় পর আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে স্কুল খুলবে। তবে আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের সশরীরে ক্লাস হবে। করোনা পরিস্থিতি বা অতিমারি শুরু হওয়ার পর কলেজ গুলি প্রথমবার খুলছে। তাই কলেজগুলির জন্যও জারি হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। কোভিড নিরাপত্তা নিয়ে অধ্যাপকদের ট্রেনিং দেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। থার্মাল স্ক্যানিং-এর পরই কলেজ চত্বরে প্রবেশ করতে পারবে পড়ুয়ারা। কারও উপসর্গ থাকলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কলেজে বহিরাগত প্রবেশে রাশ টানতেও নীতি নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বই জলের বোতল শেয়ার করা যাবে না, বন্ধুদের কাছাকাছি আসা যাবে না, শেয়ার করা যাবে না টিফিন হোস্টেলে কোভিড প্রোটোকল মানার কথা বলা হয়েছে। তবে অত বেশি ঘর না থাকায় কী ভাবে তা মানা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সব জায়গায় এই অল্প সময়ে স্যানিটইজেশন চেম্বার বসানো সম্ভব নয় বলেওস জানিয়েছেন অধ্যাপকরা। করোনার বিষয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সতর্ক করার দায়িত্বও স্কুলকেই দিয়েছে রাজ্য। করোনা সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ‘ডু অ্যান্ড ডোন্টস’-এরও একটি তালিকা রয়েছে বিকাশ ভবনের স্কুল রিওপেন বুকলেটে। সেখানে বলা হয়েছে, জ্বর হলে কোনও অভিভাবক যেন পড়ুয়াকে স্কুলে না পাঠান। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ক্লাস চলাকালীন একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর পর ক্লাসরুম, ল্যাব বা অন্যান্য ঘরগুলি স্যানিটাইজ করতে হবে।