এই মুহূর্তে জেলা

বন্ধ শোভাযাত্রা, তবে আলো ফিরছে চন্দননগরে!

সুদীপ দাস, ২৯ অক্টোবর:- কোভিড আবহে গতবারের মত এবারেও জগদ্ধাত্রীর শোভাযাত্রা বন্ধ চন্দননগরে। তবে আশার আলো ‘স্ট্রিট লাইট’! আলোক শিল্পীদের কথা মাথায় রেখে এবারে সর্বসম্মতিক্রমে স্ট্রিট লাইট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। চন্দননগর-ভদ্রেশ্বর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির ইচ্ছায় শিলমোহর দিয়েছে পুজো কমিটিগুলি। গতবছর কোভিড আবহে চন্দননগরের বেশ কয়েকটি বড় পুজো ঘট পুজোর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বন্ধ ছিলো ঐতিহ্যপূর্ন শোভাযাত্রাও। যার জেরে গতবছর চন্দননগরের বহু আলোকশিল্পীর ব্যাবসায় মন্দা দেখা দেয়। বিশেষ করে বহু আলোর কারিগর কাজ হারান।

এবছরও কোভিড আবহ চলছে। তাই বন্ধ বিসর্জন শোভাযাত্রা। যে শোভাযাত্রায় মূলতঃ চন্দননগরের আলোর যাদু দেখা যেত। তাই এবছর আলোকশিল্পীদের কথা মাথায় রেখেই চন্দনগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি বারোয়ারিগুলিকে স্ট্রিট লাইট লাগানোর পরামর্শ দেন। চন্দননগরের ঐতিহাসিক আলোর যাদুকে বাঁচিয়ে রাখতে সেই পরামর্শমত স্ট্রিট লাইট বাড়ানোর সিদ্ধাম্ত নেন পুজো কমিটিগুলি। এবারে তাই পুজোর কদিন চন্দননগরে এলেই আলোর কারুকার্য দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা। যদিও চন্দননগরের পুজো কমিটিগুলির বক্তব্য আলোকশিল্প বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত হলেও এখানকার বিসর্জন শোভাযাত্রার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। শোভাযাত্রায় আলোর যে সমস্ত কারুকার্য দেখা যায় স্ট্রিট লাইটে সেটা দেখানো সম্ভব নয়। স্ট্রিট লাইটের প্রতি বারোয়ারিগুলির উৎসাহ বাড়াতে এবারে আলাদা পুরস্কারও ঘোষনা করেছে চন্দননগর-ভদ্রেশ্বর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। যাই হোক কোভিড আবহে যাই হোক না কেন এবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছেই! আর তার সাথে পুজোর কদিন গোটা চন্দননগর নিজেদের আলোর জাদুতে ভাসছেই!