জেলা এই মুহূর্তে

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলতি উৎসবের মরসুমেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিলো হাওড়া পুরনিগম।

হাওড়া , ২২ অক্টোবর:- আগামী দিনে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি যাতে না হয় তারজন্য চলতি উৎসবের মরসুমেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিলো হাওড়া পুরনিগম। এই নিয়ে জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে হাওড়া পুরনিগমের। সেখানেই স্থির হয়েছে চূড়ান্ত রূপরেখা। কোভিড সংক্রমণ আটকাতে আরও জোর দেওয়া হবে ভ্যাক্সিনেশনে। কোভিড বিধি মেনে চলতে বাজার, মার্কেটগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে। দুর্গোৎসব শেষ হলেও এরপর দীপাবলি, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, জগদ্ধাত্রী পূজা, ছট পূজার মতো উৎসব রয়েছে। উৎসবের মরসুমে কিছু কিছু এলাকায় করোনার গ্রাফ বেড়েছে বলে খবর। আগামী দিন যাতে কোভিড সংক্রমণের বৃদ্ধি না হয় তারজন্য হাওড়া পুরনিগম এলাকায় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই নিয়ে শুক্রবার দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এবিষয়ে পুর প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “কোভিড সংক্রমণের বৃদ্ধি যাতে না হয় তারজন্য হাওড়ায় জেলা প্রশাসন, পুরনিগম, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে আমরা যৌথ উদ্যোগ নিয়েছি।

উৎসবের মরসুম থাকার কারণে আগের তুলনায় কিছুটা হলেও কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে। যেহেতু কোভিডের সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তাই আমরা কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা আজকে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি যেগুলো আমরা করতে চলেছি। যেমন, পুরনিগম এলাকার ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে আমরা কিছু কিছু এলাকা চিহ্নিত করেছি যেখানে কোভিড সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। ওইসব এলাকায় ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কোভিড আক্রান্তদের ক্ষেত্রে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরনিগমের তরফ থেকে টেলি কলিং এর মাধ্যমে যাতে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখা যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যরা যাতে কোভিড টেস্টিং করান সেইদিকেও আমরা জোর দিচ্ছি। এতে পজিটিভ কেস নিয়ে আমাদের আরও ধারণা তৈরি হবে। এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেট এলাকায় আমরা নজর বাড়াচ্ছি। সপ্তাহে একদিন করে মার্কেটগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হচ্ছিল।

এর পাশাপাশি যে অঞ্চলে কোভিড সংক্রমণ বাড়ছে সেখানকার মার্কেটগুলোতে মাস্ক, স্যানিটাইজার যাতে সকলে ব্যবহার করেন কড়াভাবে তা দেখার জন্য বাজার কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। বাজারগুলিতে বড়ো গাড়ি পাঠিয়ে স্যানিটাইজেশনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাজারের প্রবেশ পথে পুরনিগমের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজেশন গেট করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমরা একটা টিম তৈরি করছি। ওই টিমে পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুরনিগম, স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা থাকবেন। মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে সেখানে এরা ঘুরে দেখবেন। ওই এলাকার কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করবেন এরা। আগামী সপ্তাহেই এই টিম কাজ শুরু করবে। এছাড়াও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ পজিটিভ হন তাদের জন্য মেডিসিন কিটস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পুজোর মাসের মধ্যেই এই কোভিড বিধি আমরা কার্যকর করব।”