হুগলি, ১৬ অক্টোবর:- মরনফাঁদ রেলব্রীজের নিচে দিয়ে চলে যাওয়া রাজ্য সড়ক। সামান্য কয়েক মিটার রাস্তাতে সৃষ্টি হয়ে এই মরনফাঁদ। হুগলি জেলার গোঘাট থেকে তারকেশ্বর গামী রেলপথের ১৫৫ নম্বর রেল ব্রীজের নীচে এই বেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রেল ব্রীজের নিচে বলে রাজ্য সরকারের দপ্তর করছে না। আর অন্যদিকে রেল ব্রীজ দিয়ে দিব্যি ট্রেন চলে যাচ্ছে বলে রেল দপ্তরও ব্রীজের নিচের রাস্তা মেরামত করছে না। কিন্তু জীবনকে বাজি রেখে চালকেরা গাড়ি চালাছেন। স্থানীয় মানুষের দাবী, প্রত্যেকদিন আরামবাগের দৌলতপুর এলাকার এই ১৫৫ নম্বর রেল ব্রীজের নিচের রাস্তা মেরামত করার কোনও হুশ নেই প্রশাসনের। অথচ এই সামান্য রাস্তা পেড়িয়ে গেলেই ভালো রাস্তা দেখতে পাওয়া যাবে। ভয়ংকর গর্তের মধ্যে বড়ো বড়ো লোহার রড বের হয়ে আছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে রেল ব্রীজের নিচের রাস্তা। অথচ হুশ নেই প্রশাসনের। এই বিষয়ে একজন বাস ড্রাইভার বলেন, এই সামান্য রাস্তা যাত্রী নিয়ে পার করতে বুক দুর দুর করে। কিভাবে এই বড়ো বড়ো গর্ত ও লোহার রডের ওপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাবো। চাকার ভেতরে রড ঢুকে কতবার বিপদজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোন রখমে বাস ড্রাইভাররা এইটুকু রাস্তা জীবন হাতে রেখে পার হওয়ার চেষ্টা করি। অন্যদিকে শৈলেন হালদার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি।
হাজার হাজার গাড়ি এই রেল ব্রীজের নিচে দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু বড়ো বড়ো গর্ত আর লোহার রডের মধ্য দিয়ে এই সব গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দ্রুত সংস্কার করা দরকার। পাশাপাশি এক টোটো চালক বলেন, আমরা চাইছি এই সামান্য রাস্তার স্থায়ী সমাধান হোক। জল হলেই আরও ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আসলে এই রেল ব্রীজের রাস্তা দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। এই বিষয়ে আরামবাগ পৌরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী জানান, আমরা বিষয়টি দ্রুত সংস্কারের জন্য রেলকে চিঠি করেছি। আরামবাগ রেলস্টেশনেও জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। বারবার জানাচ্ছি কাজ হচ্ছে না।আমরা এই রেল ব্রীজের নিচের রাস্তা সংস্কার করতে পারি না। এটা রেলের দায়িত্ব। অন্যদিকে আরামবাগ রেল স্টেশন সুত্রে জানা গেছে, তারা নাকি রেল দপ্তরের উচ্চ আধিকারিকদের জানিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। সবমিলিয়ে প্রশাসনের দোটানায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দুই চাকার মোটর বাইকগুলি এই ভয়াবহ গর্তে রাত্তিবেলা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই উল্টে যাচ্ছে। কারুর মাথা ফাটছে আবার কারুর পা ও হাত ভাঙ্গছে। কি ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অথচ শীত ঘুমে রয়েছে প্রশাসন। এখন দেখার এলাকার মানুষের স্বার্থ রেল ব্রীজের নীচের রাস্তা রাস্তা কবে সংস্কার হয়।