এই মুহূর্তে জেলা

দূর্গাপুজো উপলক্ষে থানা এলাকার সব ক্লাবগুলোকে নিয়ে সমন্বয় সভা করলো হাওড়া সিটি পুলিশ।

হাওড়া , ৪ অক্টোবর:- আসন্ন দূর্গাপুজো উপলক্ষে শহরের থানা এলাকার সব ক্লাবগুলোকে নিয়ে সোমবার বিকেলে এক সাধারণ সমন্বয় সভা করলো হাওড়া সিটি পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশ আয়োজিত ২০২১ শারদোৎসবের পুজো গাইড ম্যাপও এদিন প্রকাশ করা হয়। এদিন সিটি পুলিশের ডিসি হেড কোয়ার্টার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, হাওড়া সিটি পুলিশ এলাকায় এবার সরকার অনুমোদিত ১,৩৪৪টি পুজো হচ্ছে। এরমধ্যে মহিলা পরিচালিত পুজোর সংখ্যা ৮৩টি। তৃতীয়া থেকেই দর্শনার্থীরা পুজোমন্ডপ পরিদর্শনে আসবেন। সেইমতো পুজো মন্ডপের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে। ১৫ অক্টোবর দশমী থেকে ১৭ অক্টোবর দ্বাদশী পর্যন্ত এই তিনদিন গঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে। কোভিড বিধি মেনে পুজোর আয়োজন করতে হবে। দাশনগর, ব্যাঁটরা, ড্রেনেজ ক্যানেল রোড সহ শহরের বড়ো পুজো মন্ডপগুলোর সামনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়াও পুজোর অনলাইন অনুমতি নেওয়া শুরু হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে প্যান্ডেল ভিজিট শুরু হয়েছে। পুজো প্যান্ডেলে এবার দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। প্যান্ডেলে থাকবে নো এন্ট্রি বোর্ড। ক্লাব সদস্যদের নামের লিস্ট টাঙানো থাকবে। ঢাকিরা নো এন্ট্রি জোনের বাইরে ঢাক বাজাবেন।

মূর্তি তৈরিতে প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করতে হবে। দূষিত হয় এমন কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না। ৪০ ফুটের বেশি প্যান্ডেলের উচ্চতা হবে না। পুজোর সময় ফুল পাতা না ছড়িয়ে এক জায়গায় রাখতে হবে। প্যান্ডেলের তিনদিক খোলা রাখতে হবে। অতি মহামারি পরিস্থিতিতে মন্ডপের সামনে ফ্লোর মার্কিং দিতে হবে। গেট হবে এল আকৃতির। ভীড় যাতে না হয় তার ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদেরও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পুজোয় কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না। শোভাযাত্রা সহকারে বিসর্জন হবে না। বিসর্জনের সময় একটি গাড়িতে ৬ জন থাকবেন। পুজোয় হাওড়ায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে। বিসর্জনের সময় ঘাটে কুলি থাকবেন। বিসর্জন পথে পর্যাপ্ত সিসিটিভি লাগানো হবে। বিসর্জনের সময় ঘাটে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। প্যান্ডেলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে। মাস্ক, স্যানেটাইজার ছাড়াও স্যানেটাইজার টানেল করা গেলে ভালো। এদিনের সমন্বয় সভায় রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়, গৌতম চৌধুরী, নন্দিতা চৌধুরী, হাওড়ার পুর কমিশনার ধবল জৈন, হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর, বেলুড় মঠের মহারাজ স্বামী গুণালয়ানন্দজি সহ পুলিশের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও হাজির ছিলেন দমকল, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, সিইএসসি, পিডব্লুউডি, ডব্লুউবিএসইডিসিএল এর আধিকারিকরা সহ বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা।