কলকাতা, ২৯ সেপ্টেম্বর:- পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে আর বেশিদিন নেই। পুজোর আগে গ্রামীণ এলাকায় টিকাকরণে আরও বেশি করে জোর দিতে চাইছে নবান্ন। গ্রামীণ এলাকার প্রচুর মানুষ এই সময় শহরে পুজোর বাজার করতে আসেন। পুজো দেখতেও শহরমুখী হবেন অনেকেই। মূলত সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এবার গ্রামীণ ও মফ:স্বল এলাকায় টিকাকরণে বেশি জোর দিতে চাইছে রাজ্য। কঠোরভাবে করোনা বিধি মেনে রাজ্যবাসী দুর্গোৎসব পালন করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একই সঙ্গে রাজ্যবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে সার্বিক টিকাকরণ এর উপর জোর দেয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর প্রথম পর্বে গ্রাম অঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে টিকাকরণের হার ছিল অনেক বেশি। জনঘনত্ব এবং জনসংখ্যার বিন্যাসের ওপর ভিত্তি করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই শহরের টিকা দেওয়ার ওপর জোর দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এখন বদলানো হয়েছে পরিকল্পনায়। বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় টিকাকরণের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এই সময় রাজ্য সরকারের হাতে যে টিকা আসছে তার প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ টিকা গ্রামীণ এলাকায় দেওয়া হচ্ছে। ১ এপ্রিল থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০.৮ মিলিয়ন ডোজ কেবলমাত্র গ্রামীণ এলাকায় দেওয়া হয়েছে। এদিকে শহরের প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। অন্যদিকে শহরতলি থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসার পাশাপাশি টিকার জন্য শহরের হাসপাতালে আসছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০.২ মিলিয়ন মানুষ টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলায় ১৩০২৮৬৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। যা দৈনিক টিকাকরণের ক্ষেত্রে এখনও সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ।