সুদীপ দাস, ২৮ সেপ্টেম্বর:- বছর পাঁচেক আগে মগরার এক তরুনীর সাথে বিয়ে হয় বৈদ্যবাটির যুবক সঞ্জয় মন্ডলের। সঞ্জয় পেশায় রং মিস্ত্রী। দু’জনের ভালোবাসা করে বিয়ে। বিয়ের বছর দু’য়েক পর এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় তরুনী। সন্তান হওয়ার পর থেকেই স্বামীর চারিত্রিক পরিবর্তন হওয়া শুরু হয়। মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ফিরে স্ত্রীকে মারধর করা শুরু করে স্বামী। সম্প্রতি সেই অত্যাচার সীমা ছাড়ায়। বাড়িতেই মদ্যপান শুরু করে সঞ্জয়। যখন তখন স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতো সে। বেশ কয়েকবার সঞ্জয়ের বাড়িতে গেলে বিষয়টি নজরে আসে সঞ্জয়ের এক সহকর্মীর। স্বামীর অত্যাচারে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয় ওই তরুনী। শিশুকে কোলে নিয়ে রাস্তাই তখন একমাত্র ভরসা ওই তরুনীর। সেসময়ই তরুনীর পাশে এসে দাঁড়ায় সঞ্জয়ের সহকর্মী বন্ধু।
প্রথমে ভূল ভাবলেও পরে মা ও শিশুটির কথা ভেবে তরুনীর হাত ধরে বন্ধু। সমাজের কু’দৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মা ও শিশুকে বৈদ্যবাটির বাড়িতে তোলে সঞ্জয়ের সহকর্মী। সেখানেও শুরু হয় সামাজিক কটুক্তি। বাধ্য হয়ে ভদ্রেশ্বরের চাঁপদানীর একটি বাড়িতে ভাড়া মা-ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতে শুরু করে সঞ্জয়ের বন্ধু। মাস তিনেক পর সে খবর জানতে পেরেই সোমবার চাঁপদানীর বাড়িতে গিয়ে অশান্তি শুরু করে সঞ্জয়। অশান্তি এড়াতে চাঁপদানী ফাঁড়িতে উপস্থিত হয় তিনজনেই। তরুনী জানায় সে সঞ্জয়ের বন্ধুর সাথে থাকতে চায়। পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখে মা ও শিশুকে তাঁর নতুন ঘরে ফেরার অনুমতি দেয়। ঘটনায় স্ত্রীকে অত্যাচারের অভিযোগে সঞ্জয়কে আটক করে পুলিশ।