এই মুহূর্তে কলকাতা

পর্যটন শিল্পে গতি ফেরাতে বিশ্ব পর্যটন দিবসে একাধিক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের।

কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর:- রাজ্যের পর্যটন শিল্পে গতি ফেরাতে একাধিক পদক্ষেপ বিশ্ব পর্যটন দিবসকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। আজ পর্যটন দিবস উপলক্ষে দুটি নতুন রিভার ট্যুরিজম প্যাকেজ শুরু করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আজ থেকে রাজ্য পর্যটন দপ্তরের নতুন অ্যাপ নতুন চেহারায় আত্মপ্রকাশ করছে বলে দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র অনলাইন বুকিং এর পাশাপাশি গুগল ম্যাপ এবং নেভিগেশনের সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। পর্যটন দফতর জানিয়েছে জনপ্রিয়তার নিরিখে ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত রাজ্যের মধ্যে পর্যটন দপ্তরের এই অ্যাপদ্বিতীয় স্থানে পৌঁছেছে।যা ডাউনলোড হয়েছে এক লক্ষেরও বেশি। নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি এই অ্যাপ এর জনপ্রিয়তা আরও বাড়াবে বলে রাজ্যের পর্যটন কর্তারা আশাবাদী।

পাশাপাশি পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের রিসর্ট বুকিংয়ের নিয়ম আরও সরল করা হয়েছে। পর্যটকদের উৎসাহ দিতে এদিন থেকে এক মাসের বদলে ৩ মাস আগে থেকেই ঐসব রিসর্ট বুক করা যাবে। যাতে মানুষ হাতে সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন সেই জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। পুজোর ছুটিতে এই উইকেন্ড টুর রাজ্যের ভ্রমণপিপাসুদের মন জয় করতে সক্ষম হবে বলে পর্যটন দফতর আশা করছে। পর্যটন দিবস উপলক্ষে দুদিনের যে দুটি নতুন রিভার ক্রুজ চালু করা হয়েছে তার একটি কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের দর্শনীয় স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে এবং অন্যটি ঝারগ্রাম কেকেন্দ্র করে। পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথম ক্রুজ প্যাকেজটি শুরু হবে ডালহৌসির ট্যুরিজিম সেন্টার থেকে।

সেখান থেকে প্রথম বাতানুকূল বাসে ভ্রমণার্থীদের ব্যারাকপুরে সিপাহী বিদ্রোহ স্মৃতিবিজড়িত জায়গাগুলি ঘুরিয়ে দেখানো হবে। মালঞ্চ টুরিস্ট লজ যার নতুন নাম মঙ্গল ধারা সেখানে মধ্যাহ্নভোজনের পর ভ্রমণার্থীদের জলপথে নিয়ে যাওয়া হবে বেলুড় মঠ এবং দক্ষিণেশ্বরে। রাতে মালঞ্চ টুরিস্ট লজে রাত্রি বাসের ব্যবস্থা থাকবে। পরের দিন সকালে নদীপথে ভ্রমণার্থীদের ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর হুগলি বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে দেখানো হবে। যার মধ্যে রয়েছে ব্যান্ডেল চার্চ, ইমামবাড়া, দেবানন্দপুরে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে, বাঁশবেড়িয়া হংসেশ্বরী মন্দির ইত্যাদি। দু রাত এবং তিন দিনের দ্বিতীয় প্যাকেজে ডালহৌসি থেকে যাত্রা শুরু করে দর্শনার্থীদের প্রথম ঝাড়গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পর্যটন দপ্তরের বাংলো মধ্যাহ্নভোজের পর আশপাশের দর্শনীয় জায়গাগুলো ঘুরিয়ে দেখানো হবে। পরের দিন তাদের নিয়ে যাওয়া হবে বেলপাহাড়ি। সেখানে ঘাগড়া, কেতকী, কাকড়াঝোড় ঘুরিয়ে দেখানো হবে পর্যটকদের। পরের দিন সকালবেলা আদিবাসী মিউজিয়াম, সাবিত্রী মন্দির দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে কলকাতায়।