হাওড়া, ২১ সেপ্টেম্বর:- বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের কারণে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে। পূর্বাভাস মতোই গত দুই দিন একটানা বৃষ্টির দরুন হাওড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন করে জল জমতে শুরু করে। শুধু হাওড়া শহরের রাস্তা ও গলি নয় জল জমতে থাকে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের লাইনেও। গতকাল পূর্ব রেলের তরফে একটি ট্রেনকে বিলম্বিত করার কথা জানানো হলেও মোটের উপরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে পরিস্থিতির উপরে নজরদারির কথা জানানো হয়। যদিও গতকালকের একটানা বৃষ্টির দরুন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাক্ষাতেও বেশ কিছু ট্রেনকে বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ০৮৬৪৫ হাওড়া-হায়দ্রাবাদ স্পেশাল ট্রেন যা হাওড়া স্টেশন থেকে বেলা ১১:৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা। সেই ট্রেনকে হাওড়ার পরিবর্তে শালিমার স্টেশন থেকে বেলা ১২:৩০ মিনিটে ছাড়া হবে।
০২০৮৭ হাওড়া-পুরী স্পেশাল সকাল ৯:২০ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা। সেই ট্রেনকে হাওড়ার পরিবর্তে সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে বেলা ১০:২০ মিনিটে ছাড়া কথা ঘোষণা করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। পাশাপাশি ০২২৪৫ হাওড়া-জশবন্তপুর স্পেশাল ট্রেন সকাল ১০:৫০ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা। সেই ট্রেনকে হাওড়ার পরিবর্তে সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে বেলা ১১:৫০ মিনিটে ছাড়া কথা ঘোষণা করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। একইভাবে ০৮৬২৭ হাওড়া-রাঁচি স্পেশাল ট্রেন সকাল ১২:৫০ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা। সেই ট্রেনকে হাওড়ার পরিবর্তে খড়্গপুর স্টেশন থেকে বেলা ০২:৩০ মিনিটে ছাড়া কথা ঘোষণা করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। ০৬৫৯৮ হাওড়া-যশবন্তিপুর স্পেশাল ট্রেন বেলা ১২:৪০ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা।
সেই ট্রেনকে হাওড়ার পরিবর্তে খড়্গপুর স্টেশন থেকে বেলা ০১:৪০ মিনিটে ছাড়া কথা ঘোষণা করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এদিকে হাওড়ার পরিবর্তে দূরপাল্লার বেশকিছু ট্রেন সাঁতরাগাছি স্টেশনে থামিয়ে দেওয়া হয়। সাঁতরাগাছি তে এসে পৌঁছানো ট্রেন যাত্রী এবং সাঁতরাগাছি থেকে যাওয়ার জন্য ট্রেন যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে নামতে হয় রেল পুলিশকে। যাত্রীরা জানান, যে সকল যাত্রীরা ট্রেন ধরার জন্য হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাদের জন্য রেলের পক্ষ থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হয় এবং সেই বাসে করে সাঁতরাগাছি স্টেশনে নিয়ে আসা হয় যাত্রীদের। তাঁদের মধ্যে শারীরিকভাবে যাত্রীরা বলেন, কোনো ভাড়া না নিয়ে বাসে করে তাঁদের সাঁতরাগাছি স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হলেও কেবলমাত্র পায়ের চেটো ভেজা জল পার করার জন্য ট্রলি ভ্যানে চেপে জল পার করতে হয়েছে। সেই জল পার করার জন্য ৫০ টাকা করে ভাড়া দিতে হয়েছে। অনেকে জুতো হাতে করেই সেই জল পার হন।