মহেশ্বর চক্রবর্তী, ১৯ সেপ্টেম্বর:- সারি সারি দিয়ে রাস্তার পাশে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু যাত্রীবাহি বাসে না গিয়ে নৌকা করেই যাতায়াত করতে হচ্ছে নিরুপায় মানুষ জনদের। এই ঘটনাটি ঘটতে দেখা যাচ্ছে হুগলির প্লাবিত খানাকুলে। শরতের মেঘ ঘনীভূত হয়ে টানা তিন চারদিন বৃষ্টির জেড়ে খানাকুলের বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ফের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় আরামবাগ থেকে বন্দর গামি বাস বন্দর বাস স্ট্যান্ড পযন্ত না গিয়ে কাগনান পযন্ত যাচ্ছে। পাশাপাশি আরামবাগ থেকে খানাকুলের জগৎপুর বাসস্ট্যান্ডে না গিয়ে নন্দনপুর পযন্ত বাস যাচ্ছে। তারপর বাধ্য হয়েই নৌকা করে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
তবে প্রশ্ন উঠছে আবারও কিভাবে খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে অতিবৃষ্টি ও বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে রুপনারায়ন, দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে খানাকুলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। খানাকুলেই প্রায় ছয়টি জায়গায় বাঁধ ভেঙে হানা পড়ে। কিন্তু সেই সব হানাগুলি মেরামত না হওয়ায় আবারও বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদীতে জল বাড়তে থাকে এবং নদীর জল হানা দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এমন কি খানাকুলের প্রধান রাজ্য সড়কের ওপর দিয়েও বন্যার জল বইতে থাকে। তাই বাধ্য হয়েই নৌকাতে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাজার দোকান করা থেকে শুরু করে সমস্ত জরুরি কাজ নৌকা করেই যেতে হচ্ছে।
চরম সমস্যার মধ্যে দিন কাটচ্ছেন প্লাবিত এলাকার মানুষেরা। এই বিষয়ে কাগনান এলাকার এক বাসিন্দা রমেশ সাঙ্কি জানান, বর্তমানে নৌকা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। উপায় না থাকায় নৌকার ওরপ নির্ভর করতে হচ্ছে। গোটা এলাকা আবারও জলের তলায় হয়ে যাওয়ায় মানুষ অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। নৌকা করেই জরুরি কাজে বের হতে হচ্ছে। অন্যদিকে জগৎপুর এলাকার এক বাসিন্দা জানান, মায়াপুর থেকে বাস জগৎপুর পযন্ত আসছে না। তাই গ্রামের মানুষদের নৌকা করে এসে বাস ধরতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে করে খানাকুলের প্লাবিত এলাকার মানুষের অসহায় অবস্থা কাটবে সেই দিকেই তাকিয়ে স্থানীয় মানুষ।