কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর:- পরিবেশ বাঁচিয়ে উন্নয়ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার। দূষণ নিয়ন্ত্রণে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার বাড়ানোকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই পদক্ষেপ এবার বিশ্ব মঞ্চে প্রশংসা আদায় করে নিল। আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ এজেন্সির গ্লোবাল ইলেকট্রিক ভেহিকল আউটলুক (জেভো) রিপোর্ট প্রকাশিত হয় প্যারিসে। দেশের একমাত্র শহর হিসাবে কলকাতার ই-বাস পরিষেবা প্রশংসিত হয়েছে ওই রিপোর্টে। সেখানে চিনের শেনঝেন, ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি ও চিলির সান্তিয়াগোর সঙ্গেই চতুর্থ শহর হিসাবে উঠে এসেছে কলকাতা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক শহরের কাছেই আদর্শ হয়ে উঠেছে তিলোত্তমা।বর্তমানে কলকাতায় একাধিক বৈদ্যুতিক বাস বা ই-বাস চলে। গত তিন বছর থেকে শহরে নামা ই-বাস সাধারণ মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে।
এমনকি খুব প্রশংসিত হয়েছে বিদেশের দরবারে। তাই পরিবহণ ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও বেশি সংখ্যক পরিবেশবান্ধব এই বাস নামাতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দফতর। ইতিমধ্যেই চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো থেকে শুরু করে আধুনিক মানের বাসস্ট্যান্ড তৈরি একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে।রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর আগামী কয়েক বছরেই শহরের রাস্তায় নামতে চলেছে আরও ১০০০টি পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক বাস। সেগুলি চলবে কলকাতা ও নিউটাউনের বিভিন্ন বাস ডিপো থেকে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে বাসগুলি। ফলে এই ধরনের বাস বাড়ালে পরিকাঠামোগত দিক থেকে কোনও সমস্যা হবে না। পাশাপাশি সোলারাইজড বাস ডিপো তৈরি করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পরিবহণ দপ্তরের তরফে। ইলেকট্রিক বাস ও ফেরি ব্যবস্থার কারণে কমেছে দূষণ। আগামী দিনে দূষণ কমাতে এই ব্যবস্থা ভীষণ কার্যকরী। রাজধানীতে যখন ক্রমশ বাড়ছে দূষণ, সেখানে কলকাতার এই উদ্যোগের প্রশংসা বিশ্ব স্বাভাবিক ভবেই কাঁধ চওড়া করল রাজ্যের৷