এই মুহূর্তে কলকাতা

যুগের দাবি মেনে স্মার্ট হচ্ছে কলকাতার লঞ্চ।

কলকাতা, ৬ সেপ্টেম্বর:- জেট গতির যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে এবার আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে কলকাতা ও শহরতলীর আদি অকৃত্তিম নদীপথ পরিবহনে। মৃত্যুর ধাঁচে যাত্রীদের সময় বাঁচাতে এবার হুগলি নদীর জলপথ পরিবহনে চালু হচ্ছে স্মার্ট কার্ড। মেট্রো রেলের ধাঁচেই এবার স্মার্ট কার্ড চালু হচ্ছে ফেরি পরিষেবাতেও। পরীক্ষামূলকভাবে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে কামারহাটির আড়িয়াদহ থেকে গঙ্গার উল্টোপাড়ের উত্তরপাড়ার মধ্যে। আগামীতে অন্যান্য ফেরিঘাটগুলিতেও এই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে খুশি নিত্যযাত্রীরাও।

শহর ও শহরতলীর মধ্যে অন্যতম ব্যস্ততম জলপথ আড়িয়াদহ-উত্তরপাড়া। এই পথে লঞ্চে কের প্রতিদিন দশ হাজারেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। তার মধ্যে অধিকাংশই নিত্যযাত্রী। ফলে প্রতিদিন লঞ্চ ধরার আগে টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে হয় প্রত্যেককে। অফিসটাইমে ভিড় উপচে পড়ে লাইনে। বিশেষ করে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবার এই সমস্যার চিরতরে সমাধানের পথে হাঁটছে পরিবহণ দফতর। মেট্রো রেলের ধাঁচে স্মার্ট কার্ড পরিষেবা চালু হচ্ছে কামারহাটির আড়িয়াদহ-উত্তরপাড়ার মধ্যে। জানানো হয়েছে, টিকিট কাউন্টারের পাশেই টিকিট পাঞ্চিং মেশিন বসানো থাকবে। সেখানে স্মার্ট কার্ড ঠেকালেই খুলে যাবে গেট। তারপর ভেসেলে চড়ে নদীর এপার থেকে ওপার যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। ওপারেও বেরনোর সময় কার্ড পাঞ্চ করতে হবে। জেলায় আধুনিক এই উদ্যোগ প্রথম বলে দাবি পরিবহণ বিভাগের।

এবার লঞ্চ ধরতে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার দিন শেষ। কামারহাটির পুরপ্রশাসক গোপাল সাহা বলেন, ‘শহরতলিতে পরিবহণ দফতরের এটি অভিনব উদ্যোগ। স্মার্ট পরিষেবায় আমরাই জেলায় প্রথম শরিক হচ্ছি।’ বারাকপুরের মহকুমাশাসক অভ্র অধিকারী বলেন, ‘জলপথ পরিবহণের ক্ষেত্রে জেলায় এই ধরণের উদ্যোগ প্রথম। আগামিদিনে অন্য ফেরিঘাটগুলিতে স্মার্ট পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে পরিবহণ দফতরের।’ যাত্রীদের কথায়, ফেরিঘাটে এরকম ব্যবস্থা হলে খুবই সুবিধা হবে। আর সময় অপচয় হবে না।