সুদীপ দাস, ৫ সেপ্টেম্বর:- কোভিডের ২য় ঢেউয়ের সময়ই হুগলীর রিষড়ায় পথ চলা শুরু সবুজ ভলান্টিয়ার্সের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে পাথেয় করে ইতিমধ্যে বহু কোভিড রোগীর পাশে থেকেছে এই সংগঠন। আর আসন্ন ৩য় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করলো সবুজ ভলান্টিয়ার্স। রোগীদের সেবায় সংগঠন এযাবৎকালে বিশেষ নার্সিং টিম তৈরী করে ফেলেছে। সেই নার্সিং টিমের একটি অংশকে শিশু সুরক্ষার জন্য নিবেদিত করা হলো। এবার থেকে রিষড়ায় কোন শিশু কোভিড আক্রান্ত হলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রিষড়ায় খোলা হলো নতুন ক্যাম্পাস। যেখানে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে থাকবে শিশু বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড আক্রান্ত শিশুদের সেখানে নিয়ে এসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত নেওয়া যাবে। পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য থাকবে নানাবিধ সরঞ্জাম। এ তো গেলো যখন শিশু বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন তখনকার কথা। কিন্তু এখানে ২৪ ঘন্টাই পরিষেবা মিলবে। তাই প্রশ্ন হলো যখন চিকিৎসকরা থাকবেন না তখন শিশুরা কিভাবে পরিষেবা পাবে? চিন্তার কারন কোন কারন নেই! কোভিড আক্রান্ত শিশুদের পরিষেবায় রিষড়ার সবুজ ভলান্টিয়ার্সের নতুন সংযোজন “মমতার স্পর্শ”। অর্থাৎ রাতবিরেতে হঠাৎ কোন কোভিড আক্রান্ত শিশুকে এখানে নিয়ে এলে এখানকার নার্সিং টিমের সদস্যরা শিশুর বুকে স্ট্রেথিস্কোপ ঠেকাবে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে শিশুর হৃদস্পন্দনের শব্দ পৌঁছে যাবে চিকিৎসকের কানে।
পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপে শিশুর ইন্দ্রিয় দেখে কি করনীয় তৎক্ষনাত জানান দেবেন চিকিৎসক। রবিবার এই প্রকল্পের শুভ দ্বারোদঘাটন ঘটলো। ভার্চুয়ালি মমতার স্পর্শের উদ্বোধন করেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক ডাঃ সুদীপ্ত রায়। উপস্থিত ছিলেন চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন, ডা: হর্ষবর্ধন ব্যানার্জী, রিষড়া পৌরসভার নোডাল অফিসার অসিতাভ গাঙ্গুলী, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এর কো-অর্ডিনেটার মনোজ গোস্বামী, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এর কো-অর্ডিনেটার অভিজিৎ দাস সহ বিশিষ্টজনেরা। রিষড়া গ্রীন ভলান্টিয়ার্সের ইনচার্জ সমীরন বসু বলেন একান্তই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলে নিয়ে যেতেই হবে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত্য যা যা করনীয় সব মমতার স্পর্শ থেকে করা হবে। তিনি বলেন শিশুদের জন্য বিশেষ এই পরিষেবা চালু হলেও রিষড়ার গ্রীন ভলান্টিয়ার্স সকলের জন্য পরিষেবা আগের মতই চালিয়ে যাবে।