এই মুহূর্তে জেলা

মঞ্চ মমতার “দুয়ারে সরকার” , উধাও রাজনীতি , জ্যোতি বসুর পাদদেশে আবেদন পত্র পূরন লাল সৈনিকদের !

সুদীপ দাস, ৩ সেপ্টেম্বর:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত “দুয়ারে সরকার” প্রকল্প নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে কম বিরোধীতা হয়নি। বিরোধীরা কটাক্ষ করে যমের দুয়ারে সরকার বলতেও ছাড়েননি। এবারে সেই দুয়ারে সরকারের আবেদন পত্র পূরন করতে দেখা গেলো সিপিআইএম কর্মীদের। তাও আবার খোদ সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে। যেখানে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী তথা কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসুর বিশাল প্রতিকৃতির নীচে চললো লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য-সাথী প্রভৃতি প্রকল্পের আবেদন পত্র পূরনের কাজ। যে কাজ করলেন এলাকার সিপিএমের নেতা-কর্মীরাই। বহু মানুষ সেখানে এসে ফর্ম ফিলাপ করে উপকৃতও হলেন। শুধু ফর্ম ফিলাপই নয় কোন কোন আবেদন পত্রে কি কি জরুরি পরিচয় পত্র দিতে হবে সব কিছু বুঝিয়েও দেওয়া হয় এখান থেকেই। শুক্রবার হুগলী-চুঁচুড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুয়ারে সরকার কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয় কাপাসডাঙ্গা সতীন সেন বিদ্যাপীঠে।

সেই বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের দীর্ঘদিনের পার্টি অফিস। শুক্রবার সকাল থেকেই সেই অফিস খুলে ফেলা হয়। অফিসের প্রতিটি চেয়ার-টেবিল এদিন দুয়ারে সরকারের আবেদন পত্র পূরনের জন্য ব্যাবহৃত হয়। আবেদন পত্র পূরন করেন স্থানীয় সিপিআইএম কর্মীরা। সিপিএম কর্মীদের বক্তব্য রাজনীতির ময়দানে বিরোধীতা থাকবেই। কিন্তু সরকারী যে প্রকল্পের সুবিধা শ’য়ে শ’য়ে সাধারন মানুষ আসেন, সেই প্রকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে সাধারনের পাশে দাঁড়ানোই কমিউনিস্টদের কর্তব্য। যে কর্তব্য করতেই আমরা এখানে বসেছি। অন্যদিকে এবিষয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা সুরজিৎ শী বলেন এটাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প। যে প্রকল্পের বিরোধীতা কেউ করতে পারে না। তাই সিপিএম কর্মীরাও এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আমরা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সেই সমস্ত সেপিএম কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।