এই মুহূর্তে জেলা

নন্দ উৎসবকে ঘিরে উৎসাহ আরামবাগে।


মহেশ্বর চক্রবর্তী, ৩১ আগস্ট:- জন্মাষ্ঠমীর ঠিক পরের দিনই ভারতবাসী মেতে ওঠেন নন্দ উৎসবে। গোকুল রাজ নন্দ হলেন শ্রীকৃষ্ণের পালিত পিতা। পুরাণ কাহিনী অনুযায়ী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল রাতে। নন্দ সেই আনন্দ উৎসব উদযাপন করেছিলেন পরের দিন সকালে। ভারতবর্ষের এই প্রাচীন পরমপরা ও ঐতিহ্য মিশিত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনার সাথে নন্দ উৎসব ভারতবর্ষের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই দেখা যায়।তবে এই উৎসবের উৎসাহ ও উদ্দীপনা এখন অনেকটাই কমেছে। এমনটাই অভিমত পন্ডিত মহলের একাংশের। তবে হুগলি জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে এখনও নন্দ উৎসবের ঐতিহ্য ধরে রাখার মরিয়া প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। নন্দ উৎসবকে ঘিরে পুর্বে প্রায় প্রতিটি হিন্দু পরিবারেই একটা ভক্তিপুর্ন উন্মাদনা ছিলো।

ঘরে ঘরে হরিনাম সংকৃত্তন হতো এবং রাধা কৃষ্ণ ও নন্দরাজের দল হরিনাম সংকৃত্তন করতে করতে নগর বা গ্রাম পরিক্রমা করতেন। এখন যেন সেই সব কোথায় হারিয়ে গেছে। তবে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে এই নন্দ উৎসবকে ঘিরে এখনও কিছুটা উৎসাহ দেখা যায়। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা রাধা কৃষ্ণ ও নন্দ রাজের সাজে ছড়া গান বেঁধে বাড়ি বাড়ি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম সংকৃত্তন করে। এই চিত্র হুগলির আরামবাগের সালেপুর দুই নম্বর অঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে দেখা গেলো। তারা ঠাকুর মন্দির ও বাড়িতে বাড়িতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম গান করে নন্দ উৎসব পালন করেছেন।