এই মুহূর্তে জেলা

হুগলি জেলাজুড়ে রীতি মেনেই ঝুলন যাত্রার পুজোপাঠ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ১৮ আগস্ট:- রাধা ও কৃষ্ণের লীলা হল ঝুলনযাত্রা। এদিন নবদ্বীপ, মায়াপুর, মথুরা, বৃন্দাবন সহ গোটা দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রদ্ধার সাথে পালিত হচ্ছে এই উৎসব। মথুরা-বৃন্দাবনের মতোই বাংলার ঝুলন উৎসবের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। সেই মতো এদিন হুগলি জেলাজুড়ে মর্যাদার সাথে রীতি মেনে ঝুলন যাত্রার পুজোপাঠ হয়। শুধুমাত্র রাধাকৃষ্ণের যুগলবিগ্রহ দোলনায় স্থাপন করে হরেক আচার অনুষ্ঠান উৎসব নয়। পাশাপাশি জড়িয়ে আছে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য। শ্রাবণের শুক্লা একাদশী থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে এই উৎসব। জানা গিয়েছে হুগলি জেলার অভিজাত পরিবারগুলোর মন্দির ও আরামবাগের গৌরহাটি রামকৃষ্ণ মঠ, গোঘাটের পুর্ব অমরপুর ও ধুলেপুরে ঝুলন যাত্রা উপলক্ষ্যে বিশেষ পুজোপাঠ হয়। তবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছোটদের ঝুলন সাজানোর আকর্ষণ হারিয়ে যায়নি। আজও অমলিন নানা ধরনের মাটির পুতুল, কাঠের দোলনা আর গাছপালা দিয়ে ঝুলন সাজানোর আকর্ষণ।

এই বিষয়ে গোঘাটের ধুলেপুরের ঝুলন যাত্রা কমিটির সদস্য বাপ্পাদিত্য অধিকারী জানান, রীতি মেনে ও কোভিড প্রোটোকল মেনে এদিন ঝুলন যাত্রার সুচনা হয়। গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সদস্য এই উৎসাবে সামিল হয়েছে। রীতি অনুযায়ী চার পাঁচ দিন ধরেই ঝুলন যাত্রা পালন করা হবে।গ্রামের মানুষের সহযোগিতাতেই ধুলেপুর গ্রামে এই উৎসব হচ্ছে।অপররদিকে গোঘাটের পুর্ব অমরপুরের এদিন ঝুলন উৎসবের উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ হাসান ইমাম, পলমপুর মঠের সম্পাদক মহারাজ, উৎসব কমিটির সম্পাদক শক্তিপদ রায়, সভাপতি পুর্নচন্দ্র হাজারা সহ বিশিষ্ট জনেরা। এই বিষয়ে পুর্ব অমরপুরের ঝুলন উৎসব কমিটির সম্পাদক শক্তিপদ রায় জানান, গ্রামের সকল মানুষ আমাদের এই উৎসব সামিল হয়েছেন। করোনা অতিমারির জন্য কিছু বিধিনিষেধ মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সমাজের কল্যানের জন্য বিশেষ পুজোপাঠ চলে।