এই মুহূর্তে জেলা

কলকাতার দুর্গাপূজাকে টেক্কা দিলো চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটিগুলো।

সুদীপ দাস , ৪ আগস্ট:- কোলকাতার দূর্গাপুজোকে পিছনে ফেলে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি একধাপ এগিয়ে গেলো। সরকারীভাবে পুজো নিয়ে এখনও কোন নির্দেশিকা জারি না হলেও চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উদ্যোগে প্রত্যেক পুজো কমিটিগুলির সদস্যদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু হলো। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসুচি শুরু হয় চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে। ১ম ধাপে বুধবারের পাশাপাশি আগামি শুক্র এবং শনিবার প্রায় ১৭০০জনকে এই টিকা দেওয়া হবে। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন এই কর্মসুচি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। আমি যা বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে এসেছি। চন্দননগর-ভদ্রেশ্বর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির আওতাভুক্ত মোট ১৭১টি পুজো কমিটি রয়েছে। যাদের মধ্যে ১৬৬টি পুজোকমিটি ভ্যাকসিনেসনে নাম নথিভুক্ত করেছে।

বাকি ৫টি ছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরে থাকা ছোট বারোয়ারিগুলোও টিকার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে তাঁদেরকেও দেওয়া হবে। প্রতি কমিটি থেকে মোট ৫০ জন সদস্যকে এই টিকা দেওয়া হবে। আপাতত সবমিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৮০০০জন। পুজোর আগেই সকলের টিকা দেওয়া হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক শুভজিৎ সাউ। এদিন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার অর্নব ঘোষ, ডিসিপি চন্দননগর বুন্দেশ কুমার, চন্দননগর মহকুমা শাসক অয়ন দত্তগুপ্ত, চন্দননগর পুরনিগমের কমিশনার স্বপন কুন্ডু, এসিএমওএইচ মহুয়া মোহান্তি সহ চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। এদিন ভ্যাকসিন পেয়ে খুশি প্রকাশ করেন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিগুলির সদস্যরা।