এই মুহূর্তে জেলা

নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, ডোমজুড়ের বেগড়ী থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত সালাম বাবা।


strong> হাওড়া, ২৮ জুলাই:- ডোমজুড়ের বাঁকড়া মুন্সিডাঙা এলাকার গাজিপাড়ায় সাত বছরের এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ সালাম ওরফে সালাম বাবাকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে বাঁকড়া পুলিশের একটি দল বেগড়ীর গড়বাগান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত সালাম বাবা একটি ছোট হাতি গাড়িতে তাঁর জামাইয়ের সাহায্য নিয়ে হুগলির হরিপালে পালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। পুলিশ যাতে না তাঁর সন্ধান পায় তার জন্য তিনি ফোন সুইচড অফ করে রেখেছিলেন। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তের জামাইয়ের ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাকিং করে সূত্র মারফত বেগড়ী পৌঁছে যায়। গাড়ি থেকেই গ্রেফতার হয় ধর্ষণে অভিযুক্ত সালাম বাবা। যদিও অভিযুক্ত নিজেকে নির্দোষ বলে নিজেকে দাবি করেন। বুধবার কোর্টে আনার সময় সাংবাদিকদের তিনি দাবি করেন তিনি এমন কাজ করেননি। তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর ওই নাবালিকার চিকিৎসা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বুধবার অভিযুক্তকে হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২/৩৭৬/৫০৬/৩৪ এবং পকসো আইনের ৪ এবং ৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, বাঁকড়ার গাজিপাড়ার বাসিন্দা শেখ সালাম (৬৫) এলাকায় তাবিজ, কবজ বিক্রি করতেন।তিনি এলাকায় ‘সালাম বাবা’ নামেই পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় মাদুলি বিক্রি করতেন ওই বৃদ্ধ। অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে প্রতিবেশী ওই শিশু কন্যাকে চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ডাকা হয়। অভিযোগ, সেখানেই যৌন নির্যাতন চালানো হয় শিশুটির উপর। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন শেখ সালাম ও তার পরিবার। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বাড়ির জিনিসপত্র বাইরে ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। ডোমজুড়ের আইসি শুভ্রজিৎ মজুমদার, বাঁকড়ার ওসি অংশুমান চক্রবর্তী সহ পুলিশ আধিকারিকদের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।