এই মুহূর্তে জেলা

করোনা পরিস্থিতিতে শোচনীয় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন স্বর্ন শিল্পীরা।

মহেশ্বর চক্রবর্তী , ২৭ জুলাই:- ভারতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে করোনা পরিস্থিতির। টানা লকডাউনের জেরে সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতীয় অর্থনীতিতেও ধস নেমেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদের একাংশের। এই রখম এক পরিস্থিতিতে শোচনীয় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন স্বর্ন শিল্পীরা। হুগলি জেলার আরামবাগের স্বর্নশিল্পীরা আর্থিক সংকটে মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের দাবী করোনা পরিস্থিতিতে সোনার দাম বাড়ায় কাজ একেবারেই কমে গেছে। তারপরও হলমার্ক বাধ্যতামূলক করার জন্য ছোট ছোট স্বর্ন শিল্পীরা সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এই হলমার্ক সমস্যার সমাধান না হলে বহু ছোট ছোট শহরের স্বর্নশিল্পীরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বে।

সংসার চালানো দায় হয়ে পড়বে। জানা গিয়েছে বর্তমানে ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় সাতচল্লিশ হাজার টাকা। করোনা পরিস্থিতিতে সোনার গহনা তৈরির কাজ কম হচ্ছে। তাই ছোট ছোট স্বর্নশিল্পীদের দোকানে একটা দুটো গহনা তৈরি হচ্ছে। আর এই সমস্ত গহনা নিয়ে হলমার্ক করাতে গিয়েই সমস্যায় পড়ছেন স্বর্নশিল্পীরা। তাদের দাবী হলমার্ক সেন্টারগুলি একের অধিক গহনা নিয়ে গেলে তবেই হলমার্ক করছেন। সেটা ছোট ছোট সোনার দোকানদার ও শিল্পীদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই একদিকে করোনার জেড়ে প্রায় কাজ বন্ধ হয়েগিছে অন্যদিকে হলমার্ক সমস্যার জেড়ে হতাশায় মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন আরামবাগের মতো মফঃসাল শহরের স্বর্ন শিল্পীরা। এই বিষয়ে আরামবাগ স্বর্ন শিল্পী সমিতির সভাপতি তারকনাথ কর্মকার জানান, আমরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত নথী জমা দিতে রাজী।

কিন্তু হলমার্কে একের বেশি গহনা নিয়ে গিয়ে হলমার্ক করা খুব অসুবিধা। এই জন্য কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আরামবাগ স্বর্নশিল্পী সমিতির সম্পাদক স্বপন কর্মকার জানান, হলমার্কের বিষয়টা জটিল হয়ে যাচ্ছে। সরলীকরণ করা দরকার। তা না হলে ছোট ছোট স্বর্ন শিল্পীরা দোকান চালাতে পারবে না। এই বিষয়ে আরামবাগের স্বর্নশিল্পী কাত্তিক পাখিরা জানান, করোনা পরিস্থিতি কাজ কম হওয়ায় আর্থিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। তার ওপর হলমার্ক সমস্যার জন্য আমরা মহা সংকটে পড়েছি। আমরা ছোট এলাকায় একটা দুটো করে কাজ করি। কিন্তু একটা জিনিসের হলমার্ক হচ্ছে না। তাই সমস্যার মধ্যে দিন কাটছে। সবমিলিয়ে হুগলির আরামবাগের স্বর্নশিল্পীদের হতাশার মধ্যে দিন কাটছে।