এই মুহূর্তে জেলা

লকডাউন কড়া হাতে বলবৎ করতে রাস্তায় নামলো পুলিশ।

সুদীপ দাস , ২৩ জুলাই:- লকডাউনের বিধিনিষেধ কড়া হাতে বলবৎ করতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করলো হুগলির আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন থেকে শুরু ব্লক প্রশাসন।আরামবাগ ব্লকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন আছে একটি। সেখানে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরী করতে আরামবাগ ব্লক প্রশাসনের কড়া নজরদারি চলছে বলে জানা গেছে। তৃতীয় ঢেউ আটকাতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন।তাই মাক্স পড়ে না বের হলেই কড়া আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি সচেতনতা মুলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরামবাগের আরান্ডী দুই নম্বর অঞ্চল মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন হওয়ায় ওখানে আরামবাগ ব্লক প্রশাসন অনেক বেশি সতর্ক। আরামবাগ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সভ্যসাঁচী দাস নিজে পুরো এলাকায় নজরদারী চালাচ্ছেন। মাক্স না পরলেই তাকে সতর্ক করা থেকে শুরু করে জমায়েত দেখলেই তা বন্ধ করছেন তিনি।

দিনের বেলার পাশাপাশি রাতের বেলাতেও তিনি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনে তিনি দোকানে দোকানে গিয়ে সতর্ক করছেন।যাতে করে করোনা ভাইরাস একজনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। এই বিষয়ে আরামবাগের বিডিও কৌশিক ব্যানার্জী জানান, আরামবাগ জুড়েই সরকারি স্বাস্থ্য বিধি বলবৎ রয়েছে। তবে আরান্ডী দুই নম্বর অঞ্চল মাইক্রো কন্টেনমেন্টজোন হওয়ায় আমরা বাড়তি সরকতা নিয়েছি। পুলিশের সাথে নজর দারী চালানোর পাশাপাশি এলাকার মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এলাকার স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনের স্বাস্থ্যের খবর নিচ্ছেন। যদি কোনও উপসর্গ থাকে তাহলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আরামবাগের স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, আরামবাগ ব্লকের মধ্যে একটাই মাইক্রো কন্টেনমেন্টজোন রয়েছে।

ওখানকার মানুষে তাই সরকারি স্বাস্থ্যবিবি মেনে চলার জন্য সচেতন করা হয়েছে। এমন কি স্বাস্থ্য কর্মী সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছেন। আশা করি খুব দ্রুত সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। ব্লক প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ ব্লকের মানুষের যাতে সুস্থ ভাবে ভ্যাকসিন হয় তার জন্য সুপরিকল্পনা গ্রহণ করে ব্লক প্রশাসন। ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক সকল মানুষের ডেটাবেস তৈরি করে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী নিদিষ্ট বয়স অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হয়। তারপর ভ্যাকসিনের সাপ্লাই অনুযায়ী সেই তালিকা বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাকী যারা রয়ে যাচ্ছে তাদেরও সেই পদ্ধতি অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ হওয়ায় আরামবাগ ব্লকের মানুষ দ্রুত ভ্যাকসিন পাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে আরামবাগের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে।