হুগলি, ৪ জুলাই:- বাসস্ট্যান্ডে হাতে গোনা কয়েকটি দুরপাল্লার বাস আর লোকাল বাস চলছে। নাজেহাল অবস্থা বাসযাত্রীদের। টোটো ও অটো চালকেরা তাই এক প্রকার বাসস্ট্যান্ড দখল নিয়েছে বলা যায়।এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে হুগলির আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডের।এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে টোটো, অটো ও মারুতি চালকেরা। যে যেমন পাচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিচ্ছেন তারা। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ এমনিতেই বাড়ি থেকে লোকজন কম বের হচ্ছেন। তাই বাস যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কম।পাশাপাশি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ায় অনেক বাস মালিকই বাস পরিবহন বন্ধ রেখেছে। অন্যদিকে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কিছু বাস মালিক বাস পরিবহন বন্ধ রাখে। জাঁতা কলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। গন্তব্য স্থলে যাবার জন্য বাধ্য হয়ে অটো, টোটো কিংবা মারুতি ভাড়া করতে হচ্ছে।
বাসের থেকে তিন থেকে চারগুন ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জানা গিয়েছে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে বন্দর রোডে টোটোতে গৌরহাটি গেলে তাকে ৫০ টাকা দিতে হবে। এমন কি অটোতে বন্দর গেলে ১০০ টাকা দিতে হবে। এমন কি মারুতি করে বর্ধমান যেতে হলে প্রত্যককে ১৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে। এক একটি গাড়তি পাঁচ থেকে ছয়জন যাত্রী আছে। এই বিষয়ে এক মহিলা জানান,বর্ধমান হাসপাতালে তার একজন নিকট আত্নীয় ভর্তি আছে। যেতে হবে হাসপাতাল। বাস পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে মারুতি খোঁজ করছেন। কিন্তু একা বলে মারুতিও যেতে চাইছে না।
কি করবে সে। অবশেষে মারুতি দুই জন যাত্রী ওঠায় ২০০ টাকা করে ভাড়া হয়।এই বিষয়ে আরামবাগের টোটো ইউনিয়নের সম্পাদক সেখ নজর আলি জানান, বিষয়টি শুনেছি।অনিয়ম হচ্ছে।ইউনিয়ন অফিসে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতিতে টোটো চালকেরা সাধারণ মানুষের পাশে আছে। মানুষের অসহায় অবস্থার সুযোগ নেওয়া হবে না। বাইরে থেকে বেশকিছু টোটো আরামবাগে ঢুকে এই অবস্থা করছে।অন্যদিকে আরামবাগ মহকুমা পুলিশ প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, এইভাবে ইচ্ছা মতো ভাড়া নেওয়া চলবে না।এই বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবমিলিয়ে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে বাস পরিবহন প্রায় বন্ধ থাকায় দুর্গভোগে বাসযাত্রীরা।