এই মুহূর্তে জেলা

ডিস্ট্রিক্ট এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অভিযান। দুষ্প্রাপ্য পাখি ও খরগোশ পাচার করতে গিয়ে হাওড়া স্টেশন থেকে ধৃত দুই।

হাওড়া, ৩০ জুন:- হাওড়া স্টেশন থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল বন্যপ্রাণী পাচারকারী দুই যুবক। হাওড়া জিআরপি ডিস্ট্রিক্ট এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হাতে ধরা পড়ে এরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যে নাগাদ হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এদের। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচশোর বেশি পাখি এবং খরগোশ। রেল পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর তারা পান ওইদিন সন্ধ্যা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুরের বাসিন্দা সুবল দেবনাথ এবং হাওড়ার বেলুড়ের বাসিন্দা অজয় সিং হাওড়া স্টেশন দিয়ে বন্যপ্রাণী পাচার করার উদ্দেশ্যে সেখানে আসবে। সেইমতো ওতপেতে ছিলেন হাওড়া জিআরপির ডিইবি টিম। এদের দুজনকে দেখতে পেয়েই হাওড়া স্টেশনের ১৪-১৫ নম্বর প্লাটফর্ম ও পার্সেল অফিসের সামনে থেকে জিআরপির ডিস্ট্রিক্ট এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররা এদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৪৫০টি বদ্রি, প্রায় ৬০টি মুনিয়া, প্রায় ২০ টি ককটেল প্রজাতির পাখি। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া যায় ধূসর ও সাদা রঙের প্রায় ৬০টি ছোট আকারের খরগোশ। এই সমস্ত পাখি এবং খরগোশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পাঁচটি লোহার তারের তৈরি খাঁচা করে। এগুলি কোথায় তারা নিয়ে যাচ্ছিল তার স্বপক্ষে এরা কোনও বৈধ লাইসেন্স বা কোনও তথ্য দেখাতে পারেনি। এছাড়াও তারা কোনও যুক্তি দেখাতে পারেনি। এর পরেই এদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে জিআরপি। ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৫১ ধারায় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯/৪১১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। হাওড়া গ্রামীণ ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার রাজেশ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর টিম এলে উদ্ধার হওয়া সেই প্রাণীগুলি তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বন দফতরের আধিকারিকরা এগুলি উদ্ধার করে রাতেই গড়চুমুকের প্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।