এই মুহূর্তে জেলা

লিলুয়ায় স্থানীয়দের অবরোধের জের, নিকাশি নালা সাফ করে জমা জল সরানোর উদ্যোগ বিধায়কের।

হাওড়া , ২৮ জুন:- পেজে দিবি রাস্তায় বৃষ্টির জমা জলে কলকারখানার রাসায়নিক বর্জ্য মিশে দূষণ ছড়ানোকে কেন্দ্র করে রবিবার রাস্তা অবরোধ করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন লিলুয়ার পটুয়াপাড়া এলাকার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। রবিবার স্থানীয়দের ওই অবরোধের জেরে সোমবার নিকাশি নালা সাফ করে জমা জল সরানোর উদ্যোগ নিলেন বালির তৃণমূল বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়। কার্যত ওই অবরোধের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বালির নবনির্বাচিত বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায় এদিন নিজের উদ্যোগেই হাওড়া পুরনিগমের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে লিলুয়া দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে নেমে পড়েন। তিনি এদিন নিকাশি নালা পরিষ্কার করিয়ে জমা জল সরানোর ব্যবস্থা করেন। এদিকে, জমা জল সরে যাওয়ায় খুশি লিলুয়ার বাসিন্দারা। এদিন হাওড়া পুরনিগমের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুবীর বিশ্বাস বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা রাস্তায় জমা জলের সমস্যায় ভুগছি।

শুধু এই ওয়ার্ডের নয়, লিলুয়ার অন্যান্য ওয়ার্ডের জল এখানে এসে দাঁড়ায়। এই কারণে আমাদের সারাবছর ভোগান্তি থাকে। গত দুর্গাপুজোর সময় থেকে জল দাঁড়িয়ে আছে। আগামী দুর্গাপুজোয় জলের সমস্যা যাতে সমাধান হয় সেই ব্যাপারে সাংসদ এবং স্থানীয় বিধায়ককে জানানো হয়েছে। ওনারা আশ্বাস দিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি রাস্তার উন্নতি হবে। এদিন থেকে নিকাশি নালার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই স্থানীয় বিধায়কের হস্তক্ষেপে এদিন থেকে কাজ শুরু হয়েছে। এদিন জমা জল অনেকটাই নেমে গিয়েছে। নিকাশি নালায় পাঁক জমে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। এবার সেই নিকাশি নালার পাঁক সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা হচ্ছে। আমরা খুশি।

এ ব্যাপারে বালির বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। জল নেমে গেছে। জল জমার খবর শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। পুরনিগমের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন সোমবার সকাল থেকেই যেন কাজ শুরু হয়। ভৌগোলিক কারণেই পটুয়াপাড়া এলাকায় জল জমে থাকে। এটা একটা বড় সমস্যা। তাছাড়া ওই এলাকার একটি নিকাশি নালা আটকে গিয়েছিল। সেটা পরিষ্কার করা হয়েছে। জল নেমে গিয়েছে।জমা জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের সূত্র খুঁজতে রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের মন্ত্রী ও ওই দপ্তরের সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে উলুবেড়িয়ায় একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন হাওড়ার সমস্ত বিধায়করা। এই বৈঠকে প্রতি বছর জল জমার কারণে যাতে ভোগান্তি না হয় সেই ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।