এই মুহূর্তে জেলা

গোঘাটের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হতে চলেছে ইকো ট্যুরিজম পার্ক।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ২৫ জুন:- মনোরম গ্রাম্য পরিবেশে কর্মসংস্থান ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ইকো টুরিজিম পার্ক তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সেই মতো হুগলি জেলার গোঘাটের একেবারেই প্রত্যন্ত একটি গ্রামে ইকো টুরিজিম পার্ক তৈরি করছে গোঘাট ব্লক ও স্থানীয় পঞ্চায়েত। জানা গিয়েছে গোঘাটের কামারপুকুর থেকে প্রায় চার পাঁচ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত সাতবেড়িয়া গ্রামে এই পার্ক তৈরি হচ্ছে। সুন্দর প্রাকৃতিক গ্রাম পরিবেশে কয়েক ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়ার পক্ষে এই ইকো টুরিজিম পার্ক অন্যবদ্য। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের বাবা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থান দেরেগ্রাম সংলগ্ন সাতবেড়িয়া গ্রামে খড়ের তৈরি কুঠির যেমন তৈরি করা হয়েছে তেমনি হাঁস ও মাছ চাষের জন্য আধুনিক পদ্ধতিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। খড়ের তৈরি কটেজ গুলিতে আগত পযটকদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা যায়।

এই ইকো টুরিজিম পার্কে যারা কাজ করবে তাদের বেতন ও পঞ্চায়েতের আয় বাড়ানোর জন্য মুল্যবান গাছ লাগানোর পাশাপাশি ব্যবসায়িক দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে মাছ ও হাঁস চাষ করা হবে বলে জানা যায়।কামারপুকুরে আসা পর্যটকরা যাতে এই ইকো টুরিজিম পার্কে এসে থাকতে ও মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে পারে তার ব্যবস্থা করছে স্থানীয় প্রশাসন। বিবেক গায়েন নামে এক যুবক জানান, এই ইকো পার্ক তৈরি হলে গ্রামের বহু মানুষের কর্ম সংস্থান হবে। সবমিলিয়ে মাটির গন্ধে গ্রাম্য পরিবেশে এই ইকো টুরিজিম পার্ক তৈরি হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। এই বিষয়ে কামারপুকুর পঞ্চায়েতের প্রধান তপন মন্ডল জানান, এলাকার মানুষ ও পর্যটকদের স্বার্থে এই ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরি হয়েছে। সম্পুর্ন গ্রাম্য পরিবেশে এই পার্ক হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করে একটি পুকুর খনন করা হয় যাতে মিশ্র পদ্ধতিতে চাষ হবে।সবমিলিয়ে গোঘাটের সাতবেড়িয়া এলাকায় এই ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরি হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।