এই মুহূর্তে জেলা

ভবঘুরেদের রাস্তা থেকে তুলে এনে তাদের মুখে অন্ন তুলে দিলেন আরামবাগের পৌর প্রশাসক।

আরামবাগ, ২৩ জুন:- মানবিকতার পরিচয় দিলেন আরামবাগ পৌরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী। রাস্তা থেকে ভবঘুরেদের তুলে এনে ভবঘুরে ভবনে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন তিনি। দুই জন ভবঘুরে রাস্তায় দিন কাটাছিলেন তা জানতে পেরে খোঁজা খুঁজি শুরু হয়। প্রতিদিনের মতো এদিন মানুষের সমস্যা কথা জানতে বেড়িয়ে দ্বারকেশ্বর নদীর পাড় ধরে হাঁটছিলেন তিনি। সেখানেই দেখা মেলে এক ভবঘুরের। জানা যায় তিনি নাকি তারকেশ্বর থেকে চলে এসেছেন। বাড়িতে কেউ নেই। থাকারও জায়গা নেই। তা শুনে তাকে ভবঘুরে ভবনে আনা হয়। অন্যদিকে ক্লান্ত শরীরে আরামবাগের পাঁড়ের ঘাটের শিব মন্দিরে বসেছিলে প্রায় ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। তাকেও ভবঘুরে ভবনে থাকার ব্যবস্থা করে পৌরপ্রশাসন। জানা গিয়েছে এই বৃদ্ধার বাড়ি ঘাটালে।

তার স্বামী মারা যাবার পর ছেলে মেয়ে না থাকায় অসহায় ভাবে রাস্তাতেই দিন কাটাছিলেন। এই অসহায় অবস্থার কথা জানতে পেরে মানবিক পৌর প্রশাসক স্বপন নন্দী তাকে ভবঘুরে ভবনে থাকার ব্যবস্থা করেন। এই বিষয়ে আরামবাগের পৌরপ্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, বাংলার মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবঘুরেদের থাকার জন্য ভবঘুরে ভবনের নির্মান করেন। মাসে একটা দিন আমরা আরামবাগ শহরের বাসস্ট্যান্ড, নদীবাঁধ, মন্দির শ্মশানসহ বিভিন্ন জায়গায় ভবঘুরে কেউ আছে কিনা তা দেখা হয়। এদিনও আমরা বের হয়েছিলাম।দুই জনকে পেয়েছি। তাদেরকে আমরা ভবঘুরে ভবনে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করলাম।সবমিলিয়ে এদিন ভবঘুরে ভবনে দুই জন ভবঘুরের থাকার ব্যবস্থা হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ এবং পৌর প্রশাসকের মানবিক কাজের প্রশংসা করে এলাকার মানুষ।