মালদহ, ১৯ জুন:- বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। ট্যাঙ্কের ভিতরে রয়েছে ৪ জনের মৃতদেহ। একই পরিবারের ৪ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার। বাড়ির ৪ সদস্যকে খুনের অভিযোগ উঠছে বাড়ির ছেলের বিরুদ্ধেই। ঘটনার পর থেকেই পলাতক যুবক। পুলিশের তরফে তল্লাশি চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার কালিয়াচকে। বাড়িটি অবস্থিত কালিয়াচক থানার পুরাতন ১৬ মাইল এলাকায়। নিজের বাবা, মা, বোন এবং দিদাকে খুন করে পালিয়ে যায় যুবক। ঠিক কী কারণে এই খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ভাই আরিফ মহাম্মদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আসিফকে (১৯) গ্রেফতার করেছে। আরিফের অভিযোগ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ির চার সদস্য অর্থাৎ বাবা জাওয়াদ আলি, ঠাকুমা আলেকজান খাতুন, মা ইরা বিবি ও বোন আরিফা খাতুনকে ঠাণ্ডামাথায় খুন করেছে। আসিফ বরাতজোরে বেঁচে যায়। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ মানসিক অবসাদ থেকেই আসিফ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, আসিফদের বাড়িতে বেশ কয়েকজনের যাতায়াত ছিল। ১০ মার্চ ডার্ক ওয়েব নিয়ে কাজ করার অভিযোগে আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদও করে স্থানীয় পুলিশ। সূত্রের খবর, আসিফ একাদশ শ্রেণির পর লেখাপড়া ছেড়ে দেয়। পরিবারকে সে জানিয়েছিল, এমন একটা অ্যাপ তৈরি করতে চায় সে যা ভবিষ্যতে ভালো রোজগার করতে সাহায্য করবে। পরিবারকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে গাড়ির ব্যবসার টাকা হাত করে আসিফ। অ্যাপ বানানোর নামে আসিফ বেশ কিছু যন্ত্রপাতি কিনেছিল। সূত্রের খবর তাঁর ল্যাপটপে প্রচুর নৃশংস ঘটনার ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে সে নিয়মিত পড়াশোনা করত। পুলিশ মনে করছে, অভিযুক্ত আসিফের মগজধোলাই করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ডার্ক ওয়েবে যে সমস্ত ব্রাউজার ব্যবহার করা হয় তাতে বিটকয়েন ব্যবহার করা যায়। এই বিটকয়েন ভারতবর্ষে ব্যবহার নিষিদ্ধ কিন্তু দেখা যাচ্ছে আসিফ বিটকয়েন ব্যবহার করে বিভিন্ন গেমিংয়ের টাকা। এই কারণেই সন্দেহ গাঢ় হচ্ছে পুলিশের।