এই মুহূর্তে জেলা

কালোবাজারে মদ কেনা নিয়ে বচসার জেরে উত্তপ্ত চন্দননগর।

সুদীপ দাস , ১০ জুন:- কালোবাজারে ধারে মদ কেনা নিয়ে বচসা। যার জেরে উত্তপ্ত চন্দননগর লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার ও উর্দীবাজার সংলগ্ন এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য চন্দননগর পৌরনিগমের ৫, ৬, ৭, ১১ এবং ১২নম্বর ওয়ার্ডে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঘর থেকে সাধারনের বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। পুলিশ সূত্রে খবর এদিন রাত ১০টা নাগাদ চন্দননগর লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার এলাকায় জনৈক এক ব্যাক্তি বাড়ি থেকে ব্ল্যাকে মদ বিক্রি করছিলো। সেখানে মদ কিনতে এসেই ধারে মদ দেওয়া নিয়ে বচসা বাঁধে এক ব্যাক্তির সাথে। প্রথম দিকে তর্ক-বিতর্কে বচসা থেমে গেলেও রাতের দিকে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল অশান্তি। অশান্তি প্রথমে হাতাহাতিতে পৌঁছয়। এরপর ক্রমশই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ওই এলাকা।

মদ বিক্রেতা ও ক্রেতারা দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে শুরু হয় ইট বৃষ্টি। ছোঁড়া হয় শ’য়ে শ’য়ে মদ ও বিয়ারের খালি বোতল। বেশ কয়েকটি বোমা পরে বলেও অভিযোগ। উর্দিবাজার ও লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার এলাকার মধ্যে দুই গোষ্ঠীতে বাঁধা এই অশান্তিতে বহু দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে একাধিক পুলিশ কর্মী জখম হন বলে খবর। তবে দু’পক্ষের কতজন জখম হয়েছেন সেবিষয়ে পুলিশের কাছে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কোন খবর নেই। গভীর রাতে বিশাল পুলিশ বাহিনীর হস্তক্ষেপে অশান্তি থামতেই গোটা এলাকায় শুরু হয় পুলিশ পিকেট। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। গোটা ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গোটা ঘটনা নিয়ে আপাতত মুখে কুলুপ এটেছেন ওই এলাকার রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা। আতঙ্কে এলাকাবাসীরাও এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।