এই মুহূর্তে কলকাতা

কাজে লাগছে না মার্কিন প্রযুক্তি, বজ্রাঘাতে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত রাজ্যে।

কলকাতা , ৮ জুন:- বাজ পড়ার আগাম পূর্বাভাষ দিতে মার্কিন সংস্থার প্রযুক্তি ব্যবহার করে হতাশ রাজ্য সরকার। বছর ছয়েক আগে ওই সংস্থার কাছ থেকে আমদানি করা ওই সব লাইটনিং ডিটেক্টর বজ্রপাতের যথাযথ ও সময়োচিত পূর্বাভাষ দিতে পারছে না বলে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের দাবি। যার ফল স্বরূপ প্রতিবছর বজ্রাঘাতে বহু সংখ্যক মানুষের প্রগেলেও কার্যক্ষেত্রে আগাম সতর্কতামূলক কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তাই ওই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। খোঁজ চলছে নতুন প্রযুক্তির। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান জানিয়েছেন ২০১৫ সালে আমেরিকার নিউইয়র্ক এর একটি সংস্থার সঙ্গে সল্টলেকের একটি সংস্থা চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরে পাইলট প্রকল্প হিসেবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আলিপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, হাওড়ার মত কয়েকটি জায়গায় লাইটনিং ডিটেক্টর বসানো হয়েছিল।

কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেগুলি বাজ পড়ার দশ মিনিট আগে পূর্বাভাস দিচ্ছে বলে তিনি জানান। আবার অনেক সময় বাজ পড়ার পরে ডিটেক্টর থেকে বার্তা আসছে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। ফলে এত কম সময়ে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে এই ডিটেক্টর গুলি স্থানীয়ভাবে পূর্বাভাস না দেওয়ায় সমস্যা কিছুটা জটিল হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য গতকাল ঝড় বৃষ্টির সময় রাজ্যে বাজ পড়ে বিভিন্ন জেলায় সাতাশ জনের মৃত্যু হয়েছে।জাভেদ আরও জানান, যে সব জায়গায় যন্ত্রগুলো বসানো রয়েছে সেখান থেকে তথ্য প্রথমে সল্টলেকের অফিসে আসে। সেখান থেকে সেই তথ্য যায় নিউ ইয়র্কের সেই সংস্থায়। সেখানে বিশ্লেষণের পর সেই তথ্য ফের সল্টলেকের অফিসে আসে।

তার পর তারা রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছে পাঠায়। ফলে এই তথ্য বিশ্লেষণ করতেই দীর্ঘ সময় চলে যাচ্ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে বাজ পড়ার কিছু ক্ষণ আগে সেই তথ্য এস পৌঁছচ্ছে বা কখনও কখনও বাজ পড়ার পর। কিন্তু বাস্তবে বাজ পড়ার ২ ঘণ্টা এই তথ্য আসার কথা বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন এই উদ্যোগ সফল হলে সারা রাজ্যেই এই যন্ত্র লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে যথাযথ তথ্য না মেলায় সেই পরিকল্পনা আপাতত ত্যাগ করা হয়েছে। ওই সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও পুনর্নবীকরণ করানো হয়নি। এ ব্যাপারে অন্য সংস্থা এবং প্রযুক্তির খোঁজ চলছে ,বলে জানিয়েছেন জাভেদ খান। বজ্রপাতের উন্নততর পূর্বাভাষ দিতে পারে এমন সংস্থার সন্ধান পেলে ভবিষ্যতে আবার এই প্রকল্প নিয়ে এগোবে রাজ্য সরকার।