সুদীপ দাস , ৫ জুন:- এই তো সেদিন তৃণমূলের নামে নানাবিধ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার তৎকালীন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিশেষ জেট বিমানে দিল্লী পৌঁছেছিলেন প্রবীর ঘোষাল, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশাখী ডালমিয়ারা। দিল্লীতে গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের হাত থেকে পদ্ম পতাকা গ্রহন করেছিলেন। গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে চটজলদি বিধানসভার টিকিটও পেয়েছিলেন। কিন্তু সারা রাজ্যের ভোটে সবুজ ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছে গেরুয়া। উত্তরপাড়া কেন্দ্রে ভরাডুবি হয়েছে প্রবীরেরও। আর ঠিক এরপর থেকেই পুনরায় সবুজ প্রেম বাড়তে শুরু করে দিলো প্রবীরের। রাজনীতির নিয়ম মেনে আপাতত সুর পাল্টানো শুরু হয়েছে প্রবীর ঘোষালের। গতকালই শ্রীরামপুরে সাংগঠনিক বৈঠকে এসে সম্প্রতি মাতৃ বিয়োগ হওয়া প্রবীর ঘোষালের সাথে যোগাযোগের কথা বলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কিন্তু আজ প্রবীর ঘোষাল জানিয়ে দিলেন মাতৃ বিয়োগের পর তাঁর সাথে বিজেপির কেউ যোগাযোগ করেনি। যদিও ভোটের আগে তৃণমূলত্যাগী শুভেন্দু কিংবা রাজীব তাঁর সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি যাদের বিজেপি বলে মানেন সেইসমস্ত পুরনো বিজেপি নেতারা কেউ তাঁর সাথে যোগাযোগ করেনি। তবে প্রবীর ঘোষাল বলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক কাঞ্চল মল্লিকরা তো আছেনই মাতৃ বিয়োগের পর তাঁকে শোক বার্তা পাঠিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পাশাপাশি তিনি এই মুহুর্তে বিজেপির কোন পদাধিকারী হতেও রাজি নয় বলে জানান। ইতিমধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তারক্ষীও ছেরেছেন। এহেন পরিস্থিতিতে প্রবীরবাবুর তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে সু-মন্তব্য রাজনীতিতে অন্য গন্ধ পাওয়ারই সমান। নিন্দুকরা তাই বলছেন প্রাক্তন এই দুদে সাংবাদিক প্রয়োজনে দু’পক্ষকেই মানিয়ে চলতে বেশ পটু। যার বাংলা প্রবাদ “ঝোলের লাউ, অম্বলের কদু”!