এই মুহূর্তে কলকাতা

গাড়ির মধ্যে বসেই মিলবে করোনা টিকা এবার উদ্যোগ পুর নিগমের।

কলকাতা , ৪ জুন:- আরও বেশী সংখ্যক মানুষকে করোনা টিকাকরণের এর আওতায় আনতে কোলকাতা পুরনিগমের উদ্যোগে শহর বাসীদের জন্য ড্রাইভ থ্রু ভ্যাক্সিনেশন পরিষেবার সূচনা হল। কলকাতার এক শপিং মলে শুক্রবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী তথা পুর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম। পার্ক সার্কাস এর কোয়েস্ট মল, বেলভিউ ও উডল্যান্ড হাসপাতালের সহযোগিতায় এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে প্রতিদিন মোট তিন লক্ষ ও কোলকাতা পুর এলাকার প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। শুক্রবার কোয়েস্ট মলে শুরু হল এই ‘ড্রাইভ ইন ভ্যাকসিনেশন’ কর্মসূচি। গাড়ি নিয়ে এসে এখানে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে কো-উইন অ্যাপ থেকে ভ্যাকসিনেশনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

প্রতি গাড়িতে চারজন পর্যন্ত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এবং ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের গাড়ি থেকে বের হতে হবে না। এদিন ‘ড্রাইভ ইন ভ্যাকসিনেশন’কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন কলকাতা পুর নিগমের পুর প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার সেখানে মোট ২৪৪ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুর নিগমের উদ্যোগে ৩রা জুন থেকে শহরে শুরু হয়েছে ‘ভ্যাকসিন অন হুইল’ পরিষেবা। আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই লেক মার্কেটের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে চলে ভ্যাকসিনেশন। লেক মার্কেট এবং লেক মলের দোকানদার, কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এই পরিষেবা মূলত পাচ্ছেন ব্যবসায়ী, হকার, দোকানি, দিনমজুররা। তাঁদের ভ্যাকসিন দিতে বিশেষ বাস চালু করছে কলকাতা পুর নিগমে।

ভ্যাকসিন মিলছে কোনও পূর্ব নথিভুক্তিকরণ ছাড়াই। পুর নিগমের দাবি, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না। বলছেন, দোকান ছেড়ে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ তাঁরা রোজ হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। আগামী বছরের শুরুতেই কোভিড সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগেই কলকাতা শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের কোভিড ভ্যাকসিন দিতে বদ্ধপরিকর পুর নিগম। পুর ও পরিবহণ দফতরের যৌথ উদ্যোগেই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে।

এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, কলকাতায় ৩০ হাজার লোককে আমরা প্রতিদিন ভ্যাকসিন দিচ্ছি৷ কেন্দ্রের কাছে আমরা আরও ভ্যাকসিন চাইছি৷ দু-দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রের কাছে আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম। এখন আরও ৮.৬ কোটি ভ্যাকসিন চাইছি। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের জন্য আমাদের ওই টিকা চাই’’ সেইসঙ্গে তিনি জানান ১৭.২ লক্ষ দিয়ে ভ্যাকসিন কিনেছে রাজ্য। তার জন্য ৬০ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। এদিকে, এদিন রাজ্যে এল আরও ৮০ হাজার কোভ্যাকসিন। কেন্দ্রের পাঠানো ৮০ হাজার ভ্যাকসিন এল রাজ্যে। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোরে রাখা হয়েছে ভ্যাকসিন। এখনও রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১ কোটি ৫৪ লক্ষের বেশি মানুষ।